রুহানির বক্তব্যের প্রতিবাদে আমিরাতে ইরানি কূটনীতিককে তলব
ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চুক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে আমিরাতে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করেছে আবু ধাবি।
রোববার আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে (রাষ্ট্রদূতের অবর্তমানে দূতাবাস প্রধান) ডেকে কড়া বার্তা দিয়েছে।
আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রুহানির বক্তব্য সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও উস্কানিমূলক এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এছাড়া, তেহরানে আমিরাতের কূটনৈতিক মিশনের সুরক্ষা দায়িত্ব ইরানের, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছে আমিরাতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে এখন আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইরান।
ইরানি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার তেহরানে আমিরাত দূতাবাসের সামনে ছোট একটি দল জড়ো হয়ে চুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় কথিত ঐতিহাসিক চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল। ফিলিস্তিন তাৎক্ষণিকভাবে একে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে আখ্যা দেয়। এদিকে চুক্তির পর আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের হুমকি দিয়েছে তুরস্ক।
আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ইরানবিরোধী সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া এই চুক্তির সমালোচনা করে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইসরায়েলকে ‘এ অঞ্চলে পা রাখার সুযোগ’ করে দেয়ার ব্যপারে আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোকে সতর্ক করেছেন।
রুহানি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাদের (আমিরাত) আরও বিবেচনা করা প্রয়োজন ছিল। তারা বিরাট একটা ভুল করেছে, তারা একটা বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেছে। আমরা আশা করবো তারা এটা বুঝতে পারবে এবং এই ভুল পথ বর্জন নিজেদেরকে সরিয়ে নেবে।’
সূত্র: আল জাজিরা