মানুষের পাশে কেউ নেই, আছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই দেশে গরিব মানুষের সেবা করার অনেক লোক, অনেক রকমের প্রতিষ্ঠান, অনেক কার্যক্রম দেখি কিন্তু করোনাকালীন সময় তাদের কোনো কার্যক্রম আমরা দেখিনি। যখন সবাই ঘরে, তখন মানুষের পাশে আর কেউ নাই। মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ আছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা মানুষের পাশে আছি, মানুষের পাশে থাকবো। জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। সেটা আবারও এই দুর্যোগ- করোনা মহামারির সময় প্রমাণ হয়েছে। জনগণের আস্থা বিশ্বাস হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল, সেটাই আমাদের শক্তি।
আজ শনিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সীমিত পরিসরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়।
আওয়ামী লীগের যে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি আছে, এই করোনা মোকাবিলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে, তখনই সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে করোনার কারণে আমাদের প্রায় ৫২২ জন নেতাকর্মীরা সব মৃত্যুবরণ করেছে। এই যে এতো বড় স্যাক্রিফাইস বোধহয় আর কোনো দল তো করেনি। তারা লিপ সার্ভিস দিয়েছে। ভালো মিডিয়া আছে। আর আমি তো প্রাইভেটে টেলিভিশন দিয়েছি রেডিও দিয়েছি অনেক পত্রিকা, যে যার মতো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে কিন্তু তাদেরকে মাঠে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে, আওয়ামী লীগ কতটুকু করলো, কতটুকু করলো না? কিন্তু তারা আয়নাতে নিজের চেহারা দেখে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য সব সময় কাজ করে। এই বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নতির জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায় আমরা যেন দারিদ্রমু্ক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনকালীন সময় থেকে আমরা যদি একটু বিচার করে দেখি, কিভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হত্যা করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, পাশবিক অত্যাচার করেছে, ঘরবাড়ি দখল করেছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান দখল করে ধ্বংস করেছে, ভূমি অফিস পুড়িয়েছে, বাস-ট্রাক লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহন পুড়িয়েছে। তাদের ওই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আমরা দেখেছি। কিন্তু সেগুলো আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। সবাইকে আমরা সহযোগিতা করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত এখনো তাদের খোঁজ নিচ্ছি। এবং যেখানে যতটুকু পারি তাদের সাহায্য আমরা করে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এবার নদীভাঙনে অনেক মানুষের ক্ষতি হয়ে গেছে, সেই নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ভূমিহীন যারা নিঃস্ব হয়ে গেছে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য আমরা বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রেখেছি।