নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে বাফুফের এজিএম

Published: 3 October 2020

পোস্ট ডেস্ক : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) দুর্নীতি হচ্ছে- বিগত কয়েক বছর ধরে এমন অভিযোগ ছিল সালাউদ্দিন বিরোধীদের। কিন্তু আজ (শনিবার) বার্ষিক সাধারণ সভায় কোনো কাউন্সিলর এ বিষয় নিয়ে একটা কথাও বলেননি। দু-একটি বিষয় ছাড়া কোনো কিছু নিয়ে তেমন আপত্তি তোলেননি কাউন্সিলররা। কোনো প্রকার হট্টগোল ছাড়া নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে বাফুফের বহুল আলোচিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)।
এজিএম শেষে বাফুফের সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এমন সুন্দর এজিএম আমি কখনোই দেখিনি। দু-একটি বিষয় নিয়ে কেউ কেউ কথা বলেছেন। এজিএমে এটা হওয়া স্বাভাবিক। কেউ কেউ আগামী দিনে ফুটবলের উন্নয়নে পরামর্শ দিয়েছেন। একজন কাউন্সিলর আয়-ব্যয় নিয়ে একটা ত্রুটি উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু সেটা সংশোধন করা হয়েছে। সবকিছুই অনুমোদন করা হয়েছে।’

বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ও বাফুফের সহ-সভাপতি প্রার্থী ইমরুল হাসান বলেন, ‘আসলে আমি এ নিয়ে দু’বার এজিএমে অংশগ্রহণ করলাম। গত বছরেও করেছি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে গত বছরের চেয়ে এবারেরটা আরো বেশি সুশৃংঙ্খল ছিল এবং ডেলিগেটদের মধ্যে উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে এজিএমে অংশগ্রহণ করেছে। কোনো হট্টগোল ছাড়াই এজিএম ছিল না। গত বছরের অডিট রিপোর্ট এবং আগামী বছরের বাজেট, সবকিছুই অনুমোদন হয়েছে। একটা ব্যাপারে শরীয়তপুরের কাউন্সিলর আপত্তি তুলেছিলেন; তবে সাধারণ সম্পাদক বুঝিয়ে দেয়ার পর সেটা তিনি বুঝতে পারেন।

শরীয়তপুরের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক চঞ্চল অডিট রিপোর্টের আপত্তি নিয়ে বলেন, ‘এই অডিট রিপোর্ট সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত, মিথ্যা ও বাস্তবতার সঙ্গে মিল ছিল না। আয়-ব্যয়ের হিসাব তো উনারা নিজেদের মতো করে নিয়ে আসেন। বিশ্বের সেরা অডিট প্রতিষ্ঠানও যদি নিয়ে আসেন, তবু এখানকার ঘাপলা বের করা সম্ভব না। কেননা তারা যদি মিথ্যা খরচ দেখায় তাহলে সেটার সত্যতা বের করা কঠিন। এখানে কাউন্সিলরা ভয়ে কথা বলে না। বললে যদি অনুদান বন্ধ করে দেয়! তাহলে সমস্যা হয়ে যায়। কিন্তু আমাকে দায়িত্ববোধ থেকে কথা বলতে হয়। আমি বলি।’ চঞ্চলের আপত্তি নিয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক তার ব্যাখ্যায় বলেন, ‘করোনাকালে কোনো ফান্ড পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফুটবলারদের সহায়তা করা হয়েছে। সাধারণ সভায় কোনোকিছু নিয়ে আপত্তি না ওঠার কারণ জানিয়ে সালাউদ্দিনবিরোধী প্যানেলের সহ-সভাপতি রেদোয়ান ফুয়াদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে সবার মাথায় নির্বাচন। তাই এজিএমে কোনো কিছু নিয়ে আপত্তি তুলেনি। যে কারণে সবকিছুই পাস হয়েছে।’