হবিগঞ্জে বাবার সহযোগিতায় কিশোরীকে ধর্ষণ করল ছেলে!

Published: 5 October 2020

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এক কিশোরী (১৭) রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করার জন্য ছেলে হাতে তুলে দিলেন বাবা। এ সময় ওই তরুণীকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এরপর রাতভর ধর্ষণ করে ছেলে। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন।

 

 

 

 

 

বানিয়াচং উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের ভুক্তভোগী ওই তরুণীর অভিযোগ, মাঝে মধ্যে সে বোনের বাড়ি একই উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের বেড়াতে যেতেন। এ সময় ওই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে সজিব মিয়া (২২) তাকে উত্ত্যক্ত করত। গেল কয়েকদিন আগে সে আবার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়।

শনিবার সন্ধ্যায় সজিব মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় সেখানে কেউ না থাকার সুবাধে সজিব মিয়ার বাবা শাহাব উদ্দিন তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। পরে তার ছেলে সজিব মিয়াকে বিয়ে করার জন্য জোর করা হয় ওই তরুণীকে। এতে রাজি না হওয়ায় বাবা-ছেলে মিলে তাকে মারপিট করেন। এক পর্যায়ে তরুণীকে ছেলের হাতে তুলে দিয়ে শাহাব উদ্দিন ঘর থেকে বের হয়ে যান। রাতভর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সজিব।

এদিকে, ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন রাতভর তাকে খোঁজেও সন্ধান পাননি। এক পর্যায়ে রোববার দুপুরে শাহাব উদ্দিনের বাড়ি থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতলে ভর্তি করেন। পাশবিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।

সূত্রে জানা গেছে- ধর্ষণের শিকার তরুণীর সাথে অভিযুক্ত সজিব মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে বিয়ের দাবিতে ওই তরুণী সজিবের বাড়িতে অবস্থান নেন। এ সময় সজিবের পরিবারের লোকজন তাকের মারপিট করে তাড়িয়ে দিতে চায়। কিন্তু ওই তরুণী না যেতে চাওয়ায় সজিব তার রুমে নিয়ে রাতভর তাকে ধর্ষণ করে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বলেন- ‘বিষয়টি আমরা বিকেলে জানতে পেরেছি। ভুক্তভোগী তরুণী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’