ব্রাহ্মণ তরুণীকে বিয়ে দলিত বিধায়কের
পোস্ট ডেস্ক : জাতপাতের নামে ‘বিদ্বেষ’ যে ভারতে এখনো রয়েছে, তা বারবার উঠে এসেছে। হাথরসের পর এবার একই ছবি দেখা গেল তামিলনাড়ুতে।
সেখানে ১৯ বছরের এক ব্রাহ্মণ তরুণীকে ‘ফুসলিয়ে’ বিয়ের অভিযোগ উঠেছে দলিত বিধায়কের বিরুদ্ধে। এমনকি বিয়ের আগে মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন কনের বাবা।
প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচির বিধায়ক এ প্রভুর বয়স ৩৬ বছর। তিনি বিয়ে করলেন ১৯ বছরের তরুণীকে।
বিয়ের আগে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আর সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন বিধায়ক। তার দাবি, মাস চারেক আগে এই লকডাউনের মধ্যেই মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় হয়। বেশ কিছুদিন একে অপরের সঙ্গে মেলামেশার পর তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ প্রভুর দাবি, বিয়ের আগে তিনি মেয়েটির বাবার কাছে অনুমতি চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, কনের বাবা ব্রাহ্মণ এবং স্থানীয় এক মন্দিরের পুরোহিত, তিনি এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না।
অগত্যা কনের পরিবারের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করেন ওই দম্পতি। দলিত বিধায়কের আশা, ধীরে ধীরে শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক শুধরে নেবেন তিনি।
কনের বাবা স্বামীনাথনের দাবি একেবারেই ভিন্ন। তিনি বলেছেন, ওই বিধায়ক জোর করে এবং ফুসলিয়ে তার মেয়েকে বিয়ে করেছেন। মেয়ে নাবালিকা থাকা অবস্থায় তাকে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়েছিলেন এ প্রভু। এতদিন অপেক্ষা করছিলেন মেয়েটির সাবালক হওয়ার। সে ১৯ বছরে পা দিতেই জোর করে বিয়ে সেরে ফেলেছেন ওই বিধায়ক।
কনের বাবার অভিযোগ, বিয়ের বেশ কয়েকদিন আগে তার মেয়েকে অপহরণ করেন ওই বিধায়ক। যদিও তিনি বলছেন, ছেলে দলিত হওয়াটা তার আপত্তির কারণ নয়। তার আপত্তির কারণ, বর এবং কনের বয়সের পার্থক্য। ওই বিধায়কের শাস্তি দাবি করে তামিলনাড়ু পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
পুলিশ যদি হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন ওই পুরোহিত। যদিও স্বামীনাথনের দাবি পুলিশ মানেনি। উল্টো তার বিরুদ্ধেই আত্মহত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।