সিসি টিভি ফুটেজ সরাতে সহযোগিতা করেন এক সাংবাদিক!
সিলেট অফিস : সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়িতে পুলিশি হেফাজতে রায়হান হত্যাকান্ড নিয়ে নানা তথ্য তদন্তকারী কর্মকর্তাদের হাতে আসছে।
রায়হান হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত না অন্য কিছু এ নিয়েও তদন্তকারী সংস্থা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে মিডিয়ার কাছে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। তবে ঘটনার সাথে জড়িত কারা এ নিয়ে তারা অনেকটা ধারণা পেয়েছেন।
এ ঘটনার পর বন্দরবাজার ফাঁড়ির এস আই আকবর হোসেনকে পালানোর সহযোগিতা এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে হাসান উদ্দিন ও এক স্থানীয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় এসআই হাসান উদ্দিনকে বরখাস্ত করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসএমপির উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, হাসান উদ্দিনকে কড়া পুলিশ প্রহরায় রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তাকে গ্রেফতার করা হবে কিনা- তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের কাছে। গ্রেফতারের বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা চাইলেই এসএমপি তাদের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানান তিনি।
তদন্ত কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে , সাব ইন্সপেক্টর হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিক মিলে ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক পরিবর্তন করে নতুন হার্ডডিস্ক সংযোজন করে। স্থানীয় একটি পত্রিকার সেই সাংবাদিক গ্যালারিয়া শপিং সিটির ফ্রেন্ডস কম্পিউটার নামের এক দোকান থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় ৫০০ গিগাবাইটের একটি হার্ডডিস্ক ক্রয় করে, যার ইনভয়েস নম্বর ২৪৬০২। সেই মার্কেটের সিসি টিভির ফুটেজও সংগ্রহ করে তদন্ত কমিটি। এরপর সেই সাংবাদিক কম্পিউটারের দোকান থেকেই একজনকে নিয়ে যান সেই হার্ডডিস্ক পরিবর্তনের জন্য।
তদন্ত কমিটির মতে, সাব ইন্সপেক্টর হাসান উদ্দিন ওই কাজে সহায়তা করেছেন। এর পাশাপাশি এসআই হাসান উদ্দিন ঘটনার দিন সেই সাংবাদিকের সঙ্গে ৪০ বার এবং এর আগের দিন ১৯ বার কথা বলেছেন। এছাড়া হাসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে এসআই আকবরকে পালানোর সহায়তার অভিযোগও পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
সূত্র জানায়, স্থানীয় ওই সাংবাদিককেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে কোন সময় ডাকা হতে পারে।