জাল সনদে শিক্ষকতা !

Published: 22 October 2020

বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা : পাবনার চাটমোহর কলেজে কর্মরত একজন শিক্ষকের সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাংলার প্রভাষক মো. নাসির উদ্দীন জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন।

সম্প্রতি শিক্ষক কর্মচারীদের আত্তীকরণের প্রক্রিয়ায় এ শিক্ষকের সনদ জাল বলে যাচাই প্রতিবেদন দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

জানা গেছে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ আগস্ট থেকে সারাদেশের আরো ২৭১টি কলেজের সাথে পাবনার চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ সরকারি হয়। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক কর্মচারীদের আত্তীকরণের প্রক্রিয়া চলছে। এরই অংশ হিসেবে কলেজের ৭৬ জন শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়। গত ১৮ অক্টোবর সনদগুলোর যাচাই প্রতিবেদন দেয় এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএ এর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত যাচাই প্রতিবেদনে বলা হয়, কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মো. নাসির উদ্দীনের ষষ্ঠ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সনদটি সঠিক নয়। সনদটি জাল ও ভুয়া। তিনি মো. নাসির উদ্দীন নামের অপর একজন প্রার্থীর সনদ জাল করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। জাল সনদ নিয়ে কর্মরত শিক্ষক মো. নাসির উদ্দীনের বাবার নাম মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ও মায়ের নাম নাসিমা খাতুন। আর প্রকৃত নিবন্ধন সনদধারী মো. নাসির উদ্দীনের বাবার নাম আবু মুসা গাজী ও মায়ের নাম নাসিমা খাতুন।

সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় জাল সনদধারী বাংলার প্রভাষক মো. নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে এনটিআরসিএ কে জানাতে বলা হয়েছে।