বাসর রাতে বর জানলেন স্ত্রী ধর্ষিতা অত:পর প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা
বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা : প্রেমিক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হলেও তা চেপে যান কিশোরী; মূখ খোলেননি পরিবার ও লোকলজ্জার ভয়ে। হঠাৎ বিয়ের পর ক্ষিপ্ত প্রেমিক বরকে জানিয়ে দেয়- নববধূ তার দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে।
এ ঘটনায় মাত্র ১৩ দিনেই সংসার ভাঙে নববধূর। পরে প্রেমিকা প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন থানায়।
ঘটনাটি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কাদিরপুর গ্রামে। মামলার পর কিশোরীকে ময়মনসিংহ হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। গত ১৬ দিনেও ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওই গ্রামের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মো. ফজলুল হক ফজলুর ছেলে মো. বকুল মিয়ার (৩০)। বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বকুল মিয়া। এর মধ্যে ওই কিশোরীর বিয়ের কথাবার্তা চলে একই গ্রামের মো. খাইরুল ইসলামের সঙ্গে। আর এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রেমিক বকুল মিয়া। বিভিন্ন অপবাদ ছড়িয়ে বিয়ে বন্ধ করতে পারেনি।
একপর্যায়ে কিশোরী শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার ১৩ দিন পর স্থানীয় বাজারে কিশোরীর বরের দেখা পায় বকুল মিয়া। আড়ালে ডেকে বর খাইরুলকে বকুল মিয়া জানায়, খাইরুল এর স্ত্রীকে সে ধর্ষণ করেছে। এর একাধিক প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। এ ঘটনার পর সংসার ভাঙার উপক্রম হলে উভয় পক্ষই এক সালিসের আয়োজন করে। পরে স্থানীয় সালিসে বকুল অকপটে জানিয়ে দেয় ওই কিশোরীর শরীরে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্য স্থানে নানা চিহ্নের কথা। পরে সালিসের সর্বসস্মতি সিদ্ধান্তে কয়েকজন নারী দ্বারা কিশোরীর শরীর যাচাইয়ে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে সালিস থেকেই তালাকের সিদ্ধান্ত হয়।
এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ওই কিশোরী বাদী হয়ে প্রেমিক বকুল মিয়াকে অভিযুক্ত করে নান্দাইল থানায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার এসআই মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, বকুল এর আগেও একাধিক অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বকুলকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।