সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে বিশ্বনাথে ইউপি নির্বাচন কাল
সিলেট অফিস : দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিজেদের ভোট প্রয়োগ করবেন ভোটাররা।
ইতোমধ্যে মঙ্গলবার শেষ হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। এবার অপেক্ষার পালা শুধু একটি ভোট উৎসবের।
দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পাঁচজন হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জবেদুর রহমান (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আবদুল মান্নান (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সমছু মিয়া লয়লুছ (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) আবুল হোসেন (আনারস)।
প্রচার-প্রচারণার শেষদিনে দশঘর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই কোথাও। পোস্টারে-ফেস্টুনে ছেয়ে আছে প্রত্যেকটি এলাকা।
চারিদিকে সাজ সাজ রব। চা দোকান থেকে অফিসপাড়া সবখানেই নির্বাচন নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর কে বসছেন দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারে-এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভোটারদের মনে।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে নানা শ্রেণি ও পেশার লোকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, দশঘর ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। যে কারণে নৌকা ও ধানের শীষে মূল লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা। তবে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ঘোড়া প্রতীকও চলে আসতে পারে মূল লড়াইয়ে। ত্রিমুখী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে পড়বেন বিজয়ের মালা-সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় তারা।
বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ধানের শীষে বিপুল ভোট পেয়ে আমি বিজয়ী হব।’
‘দশঘর ইউনিয়নবাসী উন্নয়নের জন্যেই নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন’-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জবেদুর রহমান। শতভাগ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবদুল মান্নানও।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ওই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার বুধবার দুপুরে বলেন, ‘আগামীকাল দশঘর ইউনিয়নের ১০টি ভোটকেন্দ্রে ৪৫টি ভোটকক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১৪ হাজার ১১৮ জন ভোটার। করোনাকালের জন্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’