বাজির রাজ্যেও বাইডেন এগিয়ে

Published: 1 November 2020

পোস্ট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে আগাম ভোট দিয়েছেন প্রায় ৬০ মিলিয়ন নাগরিক।

নির্বাচনে খরচ হবে ১৪ বিলিয়ন। দোদুল্যমান ৮ রাজ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা। নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ শুধু যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মানুষের নয়। এখন বিশ্বব্যাপী আগ্রহের কেন্দ্রে আছে ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন হোইায়ট হাউস বাসিন্দা কে হবেন তা নিয়ে। তাই বাজিগররাও বসে নাই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন বাজি এক্সচেঞ্জ পরিচালনা প্রতিষ্ঠান বেটফেয়ার ধারণা করছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে অন্তত ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বাজি খেলা হবে। ইতোমধ্যে হয়েছে ২৮০ মিলিয়ন ডলারের।

বেটফেয়ারের মুখপাত্র ড্যারেন হিউজেস জানিয়েছেন, আমেরিকানরা এখন আইনত নিউজার্সিসহ অনেক রাজ্যে খেলাধুলার ইভেন্টে বাজি ধরতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে নির্বাচনের বিষয়ে বাজিতে অংশ নেওয়া আইনত অবৈধ। চার বছর আগে ট্রাম্প-হিলারির নির্বাচনে বাজি হয়েছিল ১৯৯ মিলিয়ন ডলারের। এবার ইতোমধ্যে হয়েছে ২৮০ মিলিয়ন ডলার। ধারণা করছি এটি ৪০০ মিলিয়নে পৌঁছাবে। যুক্তরাজ্যের ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট নির্বাচনে ১১৩ মিলিয়ন ডলারের বাজি খেলা হয়েছে। এই বাজির পরিমান যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো জনপ্রিয় খেলার চেয়ে অনেক বেশি।

প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, বাজি ধরা হচ্ছে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট তা নিয়ে। জনপ্রিয় ভোটে কে জিতবে বা হারবে তা মুখ্য নয়। এই চ্যালেঞ্জে জো বিডেনের পক্ষে ১০ ডলার বাজি ধরলে জয়ী হলে পাবেন ১৮.৮০ ডলার। সেখানে ট্রাম্পের জয়ে পাবেন ৩৪.৮ ডলার। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজনৈতিক পূর্বাভাস দেওয়া সাইট ফাইভ থার্টিইট ডটকম বাইডেনকে ভোটে জয়ী হওয়ার ৮৯ শতাংশ দেখিয়েছে। এজন্য ট্রাম্প জয়ী হলে বাজিগরদের লাভ বেশি।

জ্যকসন হাইটসের অধিবাসী আবদুল আলিম বলেন, সারা দিন আড্ডায় নির্বাচন নিয়ে যুক্তি-তর্ক চলে। আমি বাজি ধরার পক্ষে। অনর্থক তর্ক-বির্তক না করে বাজি ধরে রাখা ভালো। সব ধরনের জরিপে দেখছি বাইডেন এগিয়ে আছেন। এবার বাজির রাজ্যেও তিনি ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন জেনে একজন নিবন্ধিত ডেমোক্রেট হিসেবে আশ্বস্ত হলাম।

পেনসেলভেনিয়ার অধিবাসী প্রমতেশ বনিক বলেন, বাঙালিদের মধ্যে আগের চেয়ে অনেক বেশি ট্রাম্প সমর্থক। আপনারা জানেন বাজির রেট খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়। আমাদের প্রেসিডেন্ট দেশের জন্য যেভাবে কাজ করেছেন এবং আমাগীর জন্য যে পরিকল্পনা করে রেখেছেন তাতে তার জয়ী হওয়া অত্যাবশ্যক। এসব জরিপকে অতিক্রম করে ট্রাম্প আবার বিজয়ী হবেন।