এপি’র প্রতিবেদন
মিয়ানমারে নির্বাচন, মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ জাতিসংঘের
পোস্ট ডেস্ক : আগামী ৮ই নভেম্বর রোববার মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন বন্ধ করতে বেসামরিক সরকার ও সেনা নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল তদন্তকারী যুক্তরাষ্ট্রের মেইনে রাজ্যের সাবেক কংগ্রেসম্যান থমাস অ্যানড্রুস। তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করেছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিম সহ অন্য জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষদের ভোটাধিকার বঞ্চিত রাখায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। থমাস অ্যানড্রুস বলেছেন, ১৮৬১ সালে বৃটিশ ঔপনিবেশের অধীনে দন্ডবিধি ব্যবহার করে শাস্তি কার্যকর করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারা সাংবাদিক, ছাত্রছাত্রী এবং অন্যদেরকে মত প্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা চর্চা করার কারণে জেলে ঢোকাচ্ছে। উল্লেখ্য, অসন্তোষ বিরাজমান থাকায় মিয়ানমারের কিছু এলাকায় ভোট বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাচনের আগে মিয়ানমারে মানবাধিকার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। বলা হচ্ছে, মিয়ানমারে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৫ সালে। সেই নির্বাচনেই বেসামরিক নেত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন অং সান সুচি। দেশটি ৫ দশকেরও বেশি সময় সামরিক শাসনে থাকার পর সেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসে। তবে এরপর যে হারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, তাতে পুরো বিশ্ব স্তব্ধ। সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচি এ ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ান নি। ফলে সারা বিশ্বে তিনি নিন্দিত হয়েছেন।