দাবি মার্কিন গবেষকদের
কভিড-১৯ ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ ১০ গুণ শক্তিশালী
পোস্ট ডেস্ক : করোনার সংক্রমণ রুখতে অতি শক্তিশালী কভিড-১৯ ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ আবিষ্কারের দাবি করলেন আমেরিকার গবেষকরা।
তারা জানিয়েছেন, অত্যন্ত শক্তিশালী এই ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট কম ডোজে ব্যবহার করা হলেও তা ১০ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। তবে এখনো পর্যন্ত মানবদেহে এর পরীক্ষা করা হয়নি। সূত্র : আনন্দবাজার। খবরে বলা হয়, এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিন বিভাগের বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত মানবদেহে এ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের প্রয়োগ করা না হলেও ইঁদুরের শরীরে তা প্রবেশ করানো হয়েছে এবং তাতে বড়সড় সাফল্য লক্ষ্য করা গেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে অনেক বেশি সময় ধরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সফল হয়েছে ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটটি।
ভবিষ্যতে অতিমারী রুখতে একে বড়সড় সাফল্য হিসেবেই দেখছেন গবেষকরা। এ নিয়ে সায়েন্টিফিক জার্নাল ‘সেল’-এ তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের দাবি, করোনার সংক্রমণ থেকে যারা সেরে উঠেছেন, তাদের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির থেকেও বেশি মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে এই ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট। এমনকি সাধারণের থেকে ৬ গুণ কম ডোজ দিলেও তা ইঁদুরের দেহে ১০ গুণ বেশি প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে প্রবেশ করানোর পর এটি অতি শক্তিশালী বি-ইমিউন সিস্টেম তৈরি করেছে। গবেষকদের মতে, এর ফলে করোনাভাইরাসের মিউটেশন হলেও তার থেকে হয়তো আক্রান্তকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে এই ভ্যাকসিন। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণাপত্রের সহ-লেখক নিল কিং বলেন, ‘আশা করি, আমাদের ন্যানোপার্টিকল প্ল্যাটফরমটি হয়তো এই অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইতে সাহায্য করবে।’ এই ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের ক্ষমতা নিয়েও আশাবাদী কিং। তার কথায়, ‘এই ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের কার্যকারিতা, স্থায়িত্ব এবং প্রতিরোধক ক্ষমতা অন্য অনেক গবেষণারত ভ্যাকসিনের থেকে একে আলাদা মাত্রা দেবে।’