সাংবাদিক ফাগুন রেজা হত্যার জট খুলছে

Published: 6 November 2020

বিশেষ সংবাদদাতা : অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রিয়ডট কমের সহ-সম্পাদক তরুণ সাংবাদিক ফাগুন রেজা হত্যার জট খুলতে যাচ্ছে।

এ হত্যাকাণ্ডের সাথে গাজীপুরে আরেকটি হত্যা মামলার আসামি সোহরাবের (৩২) সম্পৃক্ত থাকার তথ্য রয়েছে জামালপুর রেলওয়ে পুলিশের কাছে। কাশিমপুর কারাগার থেকে শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে আসামি সোহরাবকে জামালপুরে এনে গত বুধবার আদালতের মাধ্যমে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। গত বছরের ২২ মে জামালপুরে রেললাইনের পাশে ফাগুনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলা সদরের এনটিভির সাংবাদিক ও কলাম লেখক কাকন রেজার বড় ছেলে ইহসান ইবনে রেজা ফাগুন ঢাকায় তেজগাঁ কলেজের বিবিএ প্রফেশনাল দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি প্রিয়ডট কমের সহ-সম্পাদক পদে চাকরিও করতেন। সেই থেকে তিনি ফাগুন রেজা নামে খুবই পরিচিত ছিলেন। ফাগুন রেজা গত বছরের ২১ মে ঢাকায় তার কর্মস্থল থেকে শেরপুরে নিজ বাড়িতে আসার পথে নিখোঁজ হন। পরদিন ২২ মে জামালপুর সদরের রানাগাছা এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে জামালপুর জিআরপি পুলিশ।

গত বছরের ২২ মে জামালপুর সদরের রানাগাছা এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে সাংবাদিক ফাগুন রেজার লাশ উদ্ধারের সময় তার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় তার বাবা সাংবাদিক কাকন রেজা বাদী হয়ে গত বছরের ২৫ মে জামালপুর রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহত ফাগুন রেজার ব্যবহৃত মোবাইলের অবস্থান নির্ণয় করে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার তাতরাকান্দা এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে সোহরাব (৩২) নামে একজনকে শনাক্ত করে রেলওয়ে পুলিশ। কিন্তু বিভিন্ন নাম পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করায় তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এদিকে গাজীপুর জেলার সাফারিপার্ক সড়কে এক অটোরিকশা চালককে আহত করে অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে সোহরাবকে। পরে এই ঘটনায় চলতি গত ১৪ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু সেখানে ওই আসামি ভুল নাম ঠিকানা ব্যবহার করে। হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাই মামলায় ছদ্মনাম ঠিকানা ব্যবহার করলেও ফাগুন হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে আগে থেকেই চিহ্নিত ওই একই ব্যক্তি আটক আছে বলে জানতে পায় জামালপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ।

পরে আরো অধিকতর যাচাই বছাই শেষে নিশ্চিত হয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে সোহরাবকে গত ১০ অক্টোবর জামালপুরে আনা হয়। ফাগুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন করে রেলওয়ে থানা পুলিশ। আদালত তিনদিনের রিমানড মঞ্জুর করেছে। কাল শনিবার তার রিমান্ড শেষ হচ্ছে।

নিহত সাংবাদিক ফাগুন রেজার বাবা সাংবাদিক কাকন রেজা জানান, ঘটনার প্রায় সাড়ে ১৭ মাস পরে আমার আদরের ছেলে ফাগুনের খুনিচক্রের একজনকে মাত্র গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমরা একটু হতাশ যে এতো দিন লাগলো কেন? আমরা ধারণা করতেছি যে এটা শুধুমাত্র ছিনতাই নয়, এর পেছনে অন্যকোনো ঘটনা থাকতে পারে। আশা করি পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ এর পেছনে যারা রয়েছে তাদেরও খুঁজে বের করবে। তিনি তার ছেলের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

জামালপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পন্ডিত বলেন, গত বুধবার আসামি সোহরাবকে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে পেশাদার খুনি। বিভিন্ন থানায় তার নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। শনিবার তার রিমান্ড শেষ হচ্ছে।

অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রিয়ডট কমের সহ-সম্পাদক তরুণ সাংবাদিক ফাগুন রেজা হত্যার জট খুলতে যাচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে গাজীপুরে আরেকটি হত্যা মামলার আসামি সোহরাবের (৩২) সম্পৃক্ত থাকার তথ্য রয়েছে জামালপুর রেলওয়ে পুলিশের কাছে। কাশিমপুর কারাগার থেকে শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে আসামি সোহরাবকে জামালপুরে এনে গত বুধবার আদালতের মাধ্যমে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। গত বছরের ২২ মে জামালপুরে রেললাইনের পাশে ফাগুনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলা সদরের এনটিভির সাংবাদিক ও কলাম লেখক কাকন রেজার বড় ছেলে ইহসান ইবনে রেজা ফাগুন ঢাকায় তেজগাঁ কলেজের বিবিএ প্রফেশনাল দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি প্রিয়ডট কমের সহ-সম্পাদক পদে চাকরিও করতেন। সেই থেকে তিনি ফাগুন রেজা নামে খুবই পরিচিত ছিলেন। ফাগুন রেজা গত বছরের ২১ মে ঢাকায় তার কর্মস্থল থেকে শেরপুরে নিজ বাড়িতে আসার পথে নিখোঁজ হন। পরদিন ২২ মে জামালপুর সদরের রানাগাছা এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে জামালপুর জিআরপি পুলিশ।

গত বছরের ২২ মে জামালপুর সদরের রানাগাছা এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে সাংবাদিক ফাগুন রেজার লাশ উদ্ধারের সময় তার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় তার বাবা সাংবাদিক কাকন রেজা বাদী হয়ে গত বছরের ২৫ মে জামালপুর রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহত ফাগুন রেজার ব্যবহৃত মোবাইলের অবস্থান নির্ণয় করে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার তাতরাকান্দা এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে সোহরাব (৩২) নামে একজনকে শনাক্ত করে রেলওয়ে পুলিশ। কিন্তু বিভিন্ন নাম পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করায় তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এদিকে গাজীপুর জেলার সাফারিপার্ক সড়কে এক অটোরিকশা চালককে আহত করে অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে সোহরাবকে। পরে এই ঘটনায় চলতি গত ১৪ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু সেখানে ওই আসামি ভুল নাম ঠিকানা ব্যবহার করে। হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাই মামলায় ছদ্মনাম ঠিকানা ব্যবহার করলেও ফাগুন হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে আগে থেকেই চিহ্নিত ওই একই ব্যক্তি আটক আছে বলে জানতে পায় জামালপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ।

পরে আরো অধিকতর যাচাই বছাই শেষে নিশ্চিত হয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে সোহরাবকে গত ১০ অক্টোবর জামালপুরে আনা হয়। ফাগুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন করে রেলওয়ে থানা পুলিশ। আদালত তিনদিনের রিমানড মঞ্জুর করেছে। কাল শনিবার তার রিমান্ড শেষ হচ্ছে।

নিহত সাংবাদিক ফাগুন রেজার বাবা সাংবাদিক কাকন রেজা জানান, ঘটনার প্রায় সাড়ে ১৭ মাস পরে আমার আদরের ছেলে ফাগুনের খুনিচক্রের একজনকে মাত্র গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমরা একটু হতাশ যে এতো দিন লাগলো কেন? আমরা ধারণা করতেছি যে এটা শুধুমাত্র ছিনতাই নয়, এর পেছনে অন্যকোনো ঘটনা থাকতে পারে। আশা করি পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ এর পেছনে যারা রয়েছে তাদেরও খুঁজে বের করবে। তিনি তার ছেলের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

জামালপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পন্ডিত বলেন, গত বুধবার আসামি সোহরাবকে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে পেশাদার খুনি। বিভিন্ন থানায় তার নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। শনিবার তার রিমান্ড শেষ হচ্ছে।