পদ্মা সেতুর আর ৭৫০ মিটার বাকি
বিশেষ সংবাদদাতা : মাওয়াপ্রান্তের ২ ও ৩ নম্বর পিলারের উপর বসানো হল পদ্মা সেতুর ‘ওয়ান-বি’ নামে ৩৬তম স্প্যান। এর ফলে এখন মূল সেতুর দৃশ্যমান হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ মিটার। এখন বাকি রইল মাত্র ৫টি স্প্যানের ৭৫০ মিটার অংশ।
পদ্মা সেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি লৌহজংয়ের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়ানহু বহন করে দুপুর ১২টার দিকে মাওয়াপ্রান্তের সেতুর পিলার দুটির কাছে পৌঁছায়।
কুমারভোগ থেকে মাওয়ার দূরত্ব কম হলেও পদ্মায় কুয়াশা ও আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে স্প্যানটি সেতুর পিলার দুটির কাছে আসতে। এরপর সেতুর খুঁটি দুটির কাছে রাতভর স্প্যানটি ঝুলন্ত অবস্থায় রাখা হয়। পরে শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টা থেকে দেশি-বিদেশি প্রায় দুইশ’ শ্রমিকের প্রচেষ্টায় সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ৩৬তম স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হয় কর্তৃপক্ষ।
গত অক্টোবর মাসে ৪টি স্প্যান বসানো হয়। সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর মাওয়াপ্রান্তের ৮ ও ৯ নাম্বার পিলারের উপর ‘টু-বি’ নামের ৩৫তম স্প্যানটি বসানো হয়েছিল। চলতি মাসে আরও ৩টি ও ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখের মধ্যে ২টিসহ বাকি ৫টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষের।
এছাড়াও সেতুর ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে ১ হাজার ১৬৬টি ও রেলওয়ের ২ হাজার ৯৫৯টি স্লাবের মধ্যে ১ হাজার ৬৪৬টি বসানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সেতুর অবকাঠামো। এরপর একে একে বসানো হয়েছে ৩৬টি স্প্যান।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলারে ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে দোতলা আকৃতির পদ্মা বহুমুখী সেতু।