সামস উদ্দিন সেলিমের নারী কেলেংকারী
আলোচনায় বিয়ানীবাজার শিল্পকলা একাডেমি

Published: 7 November 2020

সিলেট অফিস : বিয়ানীবাজার শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষক সামস উদ্দিন সেলিম এর নারী কেলেংকারী ও জেলে যাওয়ার ঘটনা এখন উপজেলা ব্যাপী আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

ভদ্রতার লেবাসে সামস উদ্দিন সেলিম এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন এ নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে বিয়ানীবাজার শিল্পকলা একাডেমির কমিটি গঠন নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রকৃত শিল্পিদের বাদ দিয়ে অদৃশ্য হাতের ইশারায় একটি কমিটি করে শিল্পকলা একাডেমী পরিচালনা করার নেপথ্যে কারা রয়েছেন তাদের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট মহলে নানা আলোচনা চলছে।

বেশ কয়েকজন শিল্পি জানিয়েছেন, বিয়ানীবাজার শিল্পকলা একাডেমী শিল্পিদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু এই কমিটিতে রয়েছেন এদের মধ্যে অনেকেই শিল্পি নয়। তাদের মতে হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য একটি মহল কমিটি করে নিজের লোকদের আসনে বসিয়েছে। যার কারণে এই একাডেমির লেবাসে সামস উদ্দিন সেলিমরা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরীকে গান শেখাতে গিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গানের শিক্ষক গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত সামছুদ্দিন সেলিম সিলেটের বিয়ানীবাজার শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষক।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায়। তিনি জানান, ওই ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।

সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাসায় গিয়ে গান শেখাতেন সেলিম। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সেলিম। একপর্যায়ে ওই কিশোরী জানতে পারে সেলিম বিবাহিত এবং তার সন্তান আছে।

এতে সেলিম ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে কিল, ঘুষি, লাথি ও রড দিয়ে মারপিট করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ার চেষ্টা করেন। এ বিষয়টি কিশোরী বাড়িতে গিয়ে জানায়। পরে তাকে বিয়ানীবাজার সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।