মাদরাসা পরিচালকের ‘গোপন বিয়ে’, সন্তানের পরিচয় চাওয়ায় ‘তালাক’!

Published: 7 November 2020

বিশেষ সংবাদদাতা : দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের মাদরাসা পরিচালক আজিজুর রহমান (২৮)। তার খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে অবশেষে স্বামী সন্তানের স্বীকৃতি ও ন্যায় বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন জান্নাতুন ফেরদৌস (১৯) নামে এক তরুণী।

তিনি দিনাজপুরের একটি প্রতিষ্ঠানে আর্কিটেকচার বিভাগের ডিপ্লোমার চতুর্থ বর্ষে অধ্যায়নরত।

জানা যায়, দিনাজপুরে জেলা শহরে লেখাপাড়ার সুবাদে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে মোমিনপুর ইউনিয়নের মৃত লাল মিয়ার মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌসের সাথে মুঠোফোনে পরিচয় হয় আজিজুর রহমান সুমনের। পরিচয়ের কিছুদিন পর আজিজুরের প্রেমের ফাঁদে পড়ে জান্নাতুন। এক পর্যায়ে পরিবারের প্রথম স্ত্রীর সাথে তালাক হয়েছে এমন কথায় মন ভুলিয়ে জান্নাতুনকে গোপনে বিয়ে করে। পরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে দিনাজপুরে ভাড়া বাড়িতে ওঠেন স্বামী আজিজুর। এর কিছুদিন পরে এই দম্পতির কোলজুড়ে আসে কন্যা সন্তান সুমাইয়া তাবাচ্ছুম সেবা। এখন তার বয়স দেড় বছর।

জান্নাতুন ফেরদৌস এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি জন্মের পর বাবাকে হারিয়ে আমাদের ঠাঁই হয়েছে খালা-খালুর বাড়িতে। মাকে নিয়ে সেখানেই থাকি। দিনাজপুরে লেখাপড়ার সুবাদে মোবাইলে পরিচয়ের পর আজিজুর রহমানের সাথে আমার গোপনে বিয়ে হয়। আমার কন্যা সন্তান জন্মের পর বিয়ের ঘটনাটি পারিবারিকভাবে জানানোর কথা বললেই উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটে। এর পর প্রথমে আমাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করলেও গত শুক্রবার আমার কাছে তালাকনামা পাঠিয়েছে আজিজুর।

২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর বিয়ের সময় দেন মোহর করা হয়েছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা। কিন্তু আজিজুর একটি নিকাহ নামা তৈরি করেছে যেখানে দেনমোহর ৯০ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে স্বর্ণালঙ্কার বাবদ যে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে সেটিও মিথ্যে বলে দাবি করেন জান্নাতুন। স্বামী সন্তানের স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে উল্লেখ করেন জান্নাতুন।

অভিযুক্ত আজিজুর রহমান সুমন বলেন, আমার মতের বিরুদ্ধে চলাসহ নানা কারণে বিধি মোতাবেক স্ত্রী জান্নাতুনকে তালাক দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান আজিজুর।