লকডাউনে বিধি নিষেধ মনে চলতে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দাদের প্রতি মেয়রের আহবান

Published: 8 November 2020

পোস্ট ডেস্ক : ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর রয়েছে। কোভিড–১৯ এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া রুখতে বারার সর্বস্তরের বাসিন্দাদের অবশ্যই নতুননিয়ম কানুনগুলো মেনে চলতে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জনবিগস অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নতুন লকডাউন কার্যকর হওয়ার প্রেক্ষিতে আমি সকলকে সঠিক কাজটি করতে এবং টাওয়ার হ্যামলেটসকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করার জন্য বিধিনিষেধগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, “আমি এটা জানি যে, আরেক দফা লকডাউনের মুখোমুখি হওয়াটা আমাদের সকল কমিউনিটি ও স্থানীয় ব্যবসা–বাণিজ্যের জন্য খুবই কঠিন। তবে আমরা সবাই যদি নিয়মগুলো মেনে চলি, তাহলে ডিসেম্বরে বিধিনিষেধগুলো সহজ হয়ে আসার সর্বোত্তম সুযোগ রয়েছে।

নতুন নিয়মের কারণে আমাদের বেশির ভাগকেই এখন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওহেলথ সার্ভিসগুলো খোলা থাকবে। আপনার বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া – নিয়ে আসা চালিয়ে যান এবং যেকোন ধরনের মেডিক্যাল এপয়েন্টমেন্টে অংশ নিন। অথবা যে কোন প্রয়োজনে সহযোগিতা চান।”

‘সারা দেশজুড়েই কোভিড–১৯ এর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে জাতীয়ভাবে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বিগস বলেন, “আমরা যখন আবারও ঘরে অবস্থান করার বিষয়টি নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ি, তখন এটা আমাদের মনে করা দরকার যে, জীবন বাঁচাতেই আমরা এটি করছি। আমি জানি, এটা বেশ শক্ত। তবে ইস্ট এন্ড তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। আমাদের কমিউনিটিগুলো অনেক অদম্য ও প্রাণোচ্ছল, এবং এতে আমার কোন সন্দেহ নেই যে, আমরা একসাথেই এই সময়কে পার করবো। স্থানীয় কর্তৃপক্ষহিসেবে, বারার সকল বাসিন্দা, বিশেষ করে যারা সবচেয়ে বেশিদুর্বল বা অসহায়, তাদের সহায়তা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সকল অংশিদারদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”

মেয়র বলেন, “তাই আবারও সকলকে এই মর্মে অনুরোধ করছিযে, দয়া করে সকল নতুন বিধি মেনে চলুন এবং আপনার নিজেরএবং অন্যদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আপনার পক্ষে যা যাকরা সম্ভব তা করুন। যেমন, নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থ্যতারদেখভাল করা এবং আপনার জানাশোনা কোন লোক যিনি বাযারা হয়তো বর্তমান পরিস্থিতিতে একাকীত্ব বা বিচ্ছিন্নবোধ করতেপারেন, তাদের খোঁজ খবর নেয়া।”