বিক্রির ৭ মাস পর তরুণী উদ্ধার

Published: 8 November 2020

বিশেষ সংবাদদাতা : দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে শনিবার রাতে এক তরুণীকে (১৯) উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নাটোর জেলা শহরের দরিদ্র কৃষকের মেয়ে। মোবাইলে প্রেমের শিকার হয়ে সাত মাস আগে তিনি এখানে বিক্রি হন।


এ ঘটনায় পল্লীর বাড়িওয়ালী রোজিনা বেগমকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পল্লীর বাসিন্দা সুমন মণ্ডলের স্ত্রী।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া তরুণীর সঙ্গে অজ্ঞাত এক যুবকের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুণী ওই যুবকের কাছে তার পরিবারের অসহায়ত্বের কথা জানালে সে তাকে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার কথা বলে আশ্বস্ত করে। এর সূত্র ধরে ওই যুবকের কথামতো তরুণী চলতি বছরের মার্চ মাসে ট্রেনযোগে নাটোর থেকে দৌলতদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে আসেন।

এরপর স্টেশন থেকে কৌশলে ওই তরুণীকে যৌনপল্লীর বাড়িওয়ালী রোজিনা বেগমের কাছে বিক্রি করে সেই যুবক পালিয়ে যায়। রোজিনা তাকে পল্লীর একটি ঘরে আটকে রেখে তাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসা শুরু করায়। গত ৭ মাসে তিনি বহুবার পল্লী থেকে পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শিকার হন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের।

এদিকে শনিবার রাত ২টার দিকে ওই তরুণী রোজিনার বাড়ি থেকে কৌশলে বের হয়ে দৌড়ে পল্লীর বাইরে চলে আসেন। এ সময় রোজিনা ও তার ভাড়াটে লোকজন তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। কিন্তু তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। ছুটে আসে পাশে থাকা থানা পুলিশের টহল দল। তারা তরুণীকে উদ্ধার ও রোজিনাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আবদুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, উদ্ধার হওয়া তরুণী বাদী হয়ে রোজিনা বাড়িওয়ালী ও অজ্ঞাত আরেকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আটক রোজিনাকে রোববার আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।