পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যা.....
এসআই আকবরকে পালাতে সাহায্যকারী কে এই সিনিয়র কর্মকর্তা ?
সিলেট অফিস : রায়হান হত্যার পর এক সিনিয়র অফিসার আকবর হোসেন ভূইয়াকে পালিয়ে যেতে বলেছিলেন।
কে সেই সিনিয়র কর্মকর্তা আর আকবরের সাথে তার ঘনিষ্টতা কি ভাবে হয়েছিল। এই প্রশ্ন এখন সর্বত্র। প্রশাসন থেকে শুরু করে অনেক মহলে এ নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে আকবর এই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করায় জানা যাচ্ছে না কেই এই কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত কমকর্তারা এ বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতে চাইবেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল আকবর হোসেন ভূইয়াকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করবে পিবিআই। এরপর থেকে শুরু হবে জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে অনেক রাগব বোয়ালদের নাম এমনটাই দাবী সংশ্লিষ্টদের।
ঘটনার পর এক সিনিয়র কর্মকর্তার নির্দেশে পালিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সিলেটের রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্থ হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভুইয়া। সোমবার দুপুরের পর সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকার খাসিয়াদের কাছে আটকের পর সে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা জানিয়েছে।
আকবর জানায়- আমাকে এক সিনিয়র অফিসার বলছিলো, তুমি আপাতত চলে যাও। কয়েক দিন পর আইসো। দুই মাস পরে মোটামুটি পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যাবে। এ কারণে আমি চলে যাই।
গ্রেপ্তারের পর আকবর দাবি করে- রায়হানকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক করা হয়েছিলো। তাকে কাস্টঘর এলাকার লোকজন গণপিঠুনি দেয়।
কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তের খাসিয়াদের জেরার মুখে কেনো পালিয়েছিলো প্রশ্নের জবাবে সে জানায়- সাসপেন্ড করছে, এরেস্ট করতে পারে। এ কারণে পালিয়েছিলাম।
কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তের মাঝের গাওয়ের ওদিকে ভারতে পালিয়েছিলো বলে জানায় আকবর। ওখানে তার এক পরিচিত পরিবার রয়েছে বলে দাবি করে সে।