আজবকাণ্ড! তাও আবার দেশে
বিশেষ সংবাদদাতা : সাধারণত কোনো জীবজন্তু যেটা করে সেটাই করলো এক কিশোর (১৮)। মাঠে চড়ানো গরুর নাড়ি-ভূড়ি, কলিজা খাওয়ার মতো আজবকাণ্ড ঘটিয়েছে সে।
স্থানীয় লোকজন কিশোরটিকে মানসিক রোগী বলে আখ্যায়িত করেছেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। সোমবার দুপুরে পৌর এলাকার তারাগনে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরের বাবা ক্ষতিগ্রস্ত গরুর মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে অন্য গরুর মালিকরা এমন ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাগন পশ্চিমপাড়ার মো. আবু তাহের মিয়া সোমবার সকালে বাড়ির পাশেই খোলা মাঠে নিজের গরু চড়াতে দেন। দুপুরে গিয়ে দেখেন গরুটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। একই সঙ্গে পিছন দিক নিয়ে গরুর নাড়ি-ভূড়ি বের হয়ে আছে। এর পাশেই ছিলেন এক কিশোর। গরুর মালিককে দেখে ওই কিশোর পালিয়ে যায়। পরে তাকে ধরে আনলে গরুর পা বেঁধে পিছন দিক দিয়ে কেটে নাড়ি-ভূড়িসহ ভেতর থেকে বিভিন্ন কিছু বের করে খায় বলে স্বীকার করে। এরই মধ্যে শতশত লোক জড়ো হয়ে যায়।
আবু তাহের মিয়া জানান, কিছুদিন পূর্বে প্রায় ৫০ হাজার টাকায় তিনি গরুটি কেনেন। সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশে ঘাস খাওয়ার সময় এলাকারই এক কিশোর এ ঘটনা ঘটায়। প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাসই হয়নি। পরে তাকে ধরে আনলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তবে কি কারণে সে এমন করলো এ বিষয়ে কোনো কথা বলে না।
তারাগন গ্রামের আলম মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘মানুষকে কত ধরণের খাবার খেতে দেখেছি। কিন্ত এভাবে তাজা গরুর নাড়ি-ভূড়ি খেতে দেখিনি। নিজের গরু নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় আছি।
আখাউড়া পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মানিক মিয়া বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি দুঃখজনক ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছেলেটি মানসিক সমস্যা রয়েছে। নইলে সে এমন করতে পারে না। ওই ছেলের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।’
আখাউড়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. কামাল বাশার সাংবাদিকদেরকে জানান, ঘটনাটি শুনে দ্রুত খোঁজখবর নিতে লোক পাঠানো হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে কিশোর মানসিক রোগী। তাকে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন।