রায়হান হত্যার এক মাস
বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে ‘আঁধার সরাতে আলোক প্রজ্বালন’

Published: 11 November 2020

সিলেট অফিস :  পুলিশের নির্যাতনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে রায়হান নিহত হওয়ার এক মাস পূর্তিতে ‘আঁধার সরাতে আলোক প্রজ্বালন’ করে দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা।

সন্ধ্যায় সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে
রায়হান হত্যার এক মাস উপলক্ষে পুলিশের নির্যাতনে মানুষ হত্যা বন্ধের দাবিতে ‘আঁধার সরাতে আলোক প্রজ্বালন’ করে দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা।
সিলেটে পুলিশি হেফাজতে রায়হান আহমদ নিহত হওয়ার এক মাস পূর্তিতে বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে বুধবার ‘আঁধার সরাতে আলোক প্রজ্বালন’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা নামের নাগরিক মোর্চার উদ্যোগে মোমবাতি জ্বালানো হয়। এতে রায়হানের পরিবারের সদস্যরাও যোগ দেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ফটকে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। এর আগে বিকেল পাঁচটার দিকে সেখানে সংহতি সমাবেশ হয়। নাগরিক মোর্চার সংগঠক দেবাশীষ দেবু সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

 

সমাবেশে রায়হানের ছোট ভাই রাব্বি আহমদ তানভীর, খালা আমিনা বেগম ও বোন ফাহমিদা আক্তার, রাজনীতিবিদ সিকান্দর আলী, নাগরিক সংগঠনের সংগঠক আবদুল করিম চৌধুরী, মোহাম্মদ আশরাফুল কবির, রাজীব রাসেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

কর্মসূচি চলাকালে রায়হানের ছোট ভাই রাব্বি আহমদ বলেন, ‘এসআই আকবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে ভারত চলে গিয়েছিলেন। এত দিন কেটে গেছে, শুধু আকবরের নাগাল পেতেই। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাইতে গিয়ে দেখছি, আকবরকে পালাতে সহায়তা করেছে পুলিশই। তাই আমাদের পরিবারের দাবি, এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হোক। পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থা বদল করে মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হোক।’

সমাবেশে নাগরিক মোর্চার পক্ষ থেকে বলা হয়, জনতার হাতে আটক হওয়ার পর আকবর বলেছেন, ‘সিনিয়র অফিসারদের পরামর্শে তিনি ভারতে পালিয়েছেন। তাঁর এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরাও প্রথম থেকে বলে আসছি, সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই আকবর পালিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ছাড়া সদ্য বহিষ্কৃত কোনো পুলিশ কর্মকর্তার পালানো অসম্ভব। আকবরের জবানিতেও এর সত্যতা পাওয়া গেছে। রায়হানের মৃত্যুর পর মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকেও প্রচার করা হয়েছে, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। এই অপপ্রচারে রায়হান হত্যায় পুলিশের ওপরের মহলের অনেক কর্মকর্তাই জড়িত রয়েছেন বলে আমরা মনে করি।’