রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
বিশেষ সংবাদদাতা : ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের ঝাউচর এলাকায় এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তার নাম মোহাম্মদ অপু। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় মো. সিহাব (১৭) ও শামীম (১৬) নামে আরো দুই কিশোর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝাউচড় এলাকায় একটি মাঠে ক্রিকেট খেলছিল কিশোররা। তখন এই খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শামীমকে মারধর করে কয়েক কিশোর। একপর্যায়ে কিশোর সাঞ্জু, ইব্রাহীমসহ ১০-১২ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে অপুর ওপর হামলা করে। কাঠ দিয়ে অপুর মাথায় আঘাত করা হয়। এতে মুমূর্ষু অবস্থায় অপুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ঘটনার সময় শামীম ও সিহাব মারধরের হাত থেকে অপুকে রক্ষা করতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাদের দুজনের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয় জানিয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অপুর বন্ধু শাহাদত হোসেন কালের কণ্ঠকে বলে, খেলার সময় তুচ্ছ কারণে অপুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় শামীম ও সিহাবকেও ছুরি মেরে হত্যার চেষ্টা চালায় ওরা।
নিহত অপুর বাসা কামরাঙ্গীর চর জাউলাহাটি চৌরাস্তায়। অপু নিউ মার্কেটে একটি কসমেটিকসের দোকানের কর্মচারী। মা পারুল বেগম ও দুই বোনের সঙ্গে থাকত সে। এসব তথ্য জানিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) এসে অপুর মামা হাবিবুর রহমান জানান, খেলার মাঠে মারামারির ঘটনা শুনে পরিবারের সবাই সেখানে ছুটে গিয়ে অপুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পান তাঁরা।
কামরাঙ্গীর চর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্রিকেট খেলা নিয়ে কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনার সময় অপু নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত অপুর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অপুর দুই বন্ধু শাহাদত ও আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।