দেশে আগামী মাস থেকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা
পোস্ট ডেস্ক : আগামী মাস থেকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক অন্যান্য হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ’ শীর্ষক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সেব্রিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
সেব্রিনা বলেন, শুরুতে ১০টি জেলায়, যেখানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সুবিধা নেই এবং সংক্রমণ শনাক্তের হার বেশি থাকবে, সেখানে এই পরীক্ষা চালু করা হবে। আগামী মাস থেকে এটি শুরু হবে।
তবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরুর নির্দিষ্ট তারিখ তিনি জানাননি। বলেছেন, এই পরীক্ষার জন্য কিছু কিট আছে, আরও কিট আসবে।
অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু হলেই যে পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে যাবে, তা নয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় লক্ষণ ও উপসর্গ না থাকলে অনেক সময় ফলস নেগেটিভ (আক্রান্ত, কিন্তু পরীক্ষায় শনাক্ত না হওয়া) আসার আশঙ্কা থাকে। এই পরীক্ষায় যাঁরা পজিটিভ হবেন, তাঁদের আক্রান্ত ধরা হবে।
আর লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে যাঁদের পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসবে না, তাঁদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য বলা হবে।
কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা সক্ষমতার চেয়ে কম হচ্ছে কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, পরীক্ষা করানোর জন্য জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন। যাঁরা পরীক্ষা করাতে আসেন, সবারই পরীক্ষা করা হয়।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর মো. শামসুল হক টিকা সংগ্রহে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাবিবুর রহমান, শাহনীলা ফেরদৌসী, আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।