পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা : অত:পর
পোস্ট ডেস্ক : অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন চীনের এক ব্যক্তি। তার এমন সম্পর্ক ধরে ফেলেন স্ত্রী। কিন্তু এই ঘটনার পর ওই নারী তার স্বামীকে ডিভোর্স দেননি। দিয়েছেন কঠিন শাস্তি। তাকে ধরে বেধড়ক মারেন। এখানেই শেষ নয়, একটি খাঁচার মধ্যে স্বামীকে বেঁধে নদীর পানিতে ফেলে দেন। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে চীনের মাওমিং শহরে। এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমনই তথ্য জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
এই ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মারধর এবং বাঁধার সময় রীতিমতো কাঁদছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাতেও মন গলেনি স্ত্রীর। ফুটেজ প্রকাশের পর স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার স্বামীর। এর মধ্যেই একদিন হাতেনাতে ধরা পড়ে যান। এরপরই স্বামীকে মারধর করেন ওই নারী। তারপর আরো কয়েকজন ব্যক্তির সহযোগিতায় স্বামীকে একটি খাঁচার মধ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে নদীতে ফেলে দেন। যদিও এই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান ওই ব্যক্তি। কোনোরকমে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত থাকায় এরই মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ‘রোমান্টিক বিরোধের’ কারণে ঘটেছে। তবে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
যে শাস্তি ওই ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে, তার প্রচলন ছিল প্রাচীন চীনে। এই শাস্তির নাম ‘ ডিপ ইন এ পিগ কেজ’। অর্থাৎ খাঁচার মধ্যে কোনো ব্যক্তিকে ঢুকিয়ে তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া। ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এই একই ঘটনা ঘটেছে। তাকেও এভাবে ফেলে দেওয়া হয়েছে।