এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণ ধর্ষণ: ডিএনএ পরিক্ষায় অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণীত

Published: 29 November 2020

সিলেট অফিস : সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে আলোচিত ধর্ষণের ঘটনার দুই মাস পর ডিএনএ প্রতিবেদন এসেছে। প্রতিবেদনে ধর্ষকদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে বিশেজ্ঞরা।

রোববার (২৯ নভেম্বর) ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি জানান, ডিএনএ রিপোর্ট হাতে আসায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই চার্জশিট দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চার্জশিট প্রস্তুত হলে সবাইকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

আলোচিত এই ধর্ষণের ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ। তাদের বক্তব্য ছিলো ডিএনএ রিপোর্টের কারণে এতোদিন চার্জশিট দিতে পারেননি।

২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে চিনিয়ে নিয়ে ছাত্রাবাসেই ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন।

তুমুল আন্দোলন ও আলোচিত হওয়ায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট ৮জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর দফায় দফায় সকলকেই ৫দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর গত ১ অক্টোবর ও ৩ অক্টোবর ২ দিনে এ মামলায় গ্রেপ্তার ৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের পর পাঠানো হয় ঢাকার ল্যাবে। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রথমে আদালতে এসে পৌঁছায়। পরবর্তীতে এ রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তার হাতে আসে।

উল্লেখ্য, আলোচিত এ ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ওই সাহসিকা তরুণীর স্বামী। মামলায় কারাগারে রয়েছেন সিলেটের বালাগঞ্জের সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), রাজন (২৮) ও তার সহযোগী আইনুল (২৬)।