এবি ব্যাংকের মাধবপুর শাখার সাবেক ম্যানেজার গ্রেপ্তার

Published: 3 December 2020

পোস্ট ডেস্ক : এক গ্রাহকের ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংক লিমিটেডের হবিগঞ্জের মাধবপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে মাধবপুর থানার পুলিশ ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে মঙ্গলবার এবি ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খান বাদী হয়ে সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক, শাখা অপারেশন ব্যবস্থাপক মহিবুর রহমান ও মুন্সি টাওয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল হাসিমকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট আদিল হোসেন নামে এক গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। ২০১৬ সালে ১ নভেম্বর তিনি মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কিমের আওতায় ৮০ লাখ টাকাও ওই স্কিমে জমা দেন। কিন্তু তৎকালীন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক ওই ৮০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে নিজের কাছে রেখে দেন এবং প্রতি মাসের মুনাফার টাকা ব্যবস্থাপক নিজের পকেট থেকে গ্রাহককে দিতে থাকেন।

 

পরবর্তীতে ২০২০ সালে ৮ নভেম্বর আদিল হোসেন ও তার ছেলে বেনু মিয়া মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কিম ভাঙানোর জন্য ব্যাংকে আসেন। কিন্তু দায়িত্বরত ব্যাংক কর্মকর্তারা ওই মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কিমের কোনো অস্তিত্ত্বই খুঁজে পাননি। তবে ডিপোজিট স্কিম কাগজপত্রে দেখে বোঝা যায় আসল। সঙ্গে সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খান জিজ্ঞেস করলে অপারেশন ম্যানেজার মহিবুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক তা স্বীকার করে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

এবি ব্যাংক প্রধান শাখা থেকে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট আদিল হোসেনের নামে এক গ্রাহক ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। ব্যবস্থাপক ৩০ আগস্ট ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে বিনা চেকে মুন্সি টাওয়ারের মালিক আব্দুল হাসিমের মুন্সি এন্টারপ্রাইজের নামে একই ব্যাংকের একাউন্টে ৮৫ লাখ টাকা স্থানান্তর করেন। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আদিল হোসেনের অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেন হয়নি।

এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সৈয়দ মাহমুদুল হককে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।