দেশকে বিরোধী দলহীন করতে চায় সরকার : মির্জা ফখরুল

Published: 18 December 2020

বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের এ ভয়াবহ দুঃশাসন মোকাবিলার লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এ মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। নাহলে এদেশ থেকে দুর্দিন কখনো দূরীভূত হবে না। তিনি বলেন, দেশকে বিরোধী দলহীন

করার জন্য সরকার তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও সরকারি যন্ত্রকে লাগামহীনভাবে ব্যবহার করছে।

 

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আস্থা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। বিরোধী দলহীন একদলীয় শাসনই এ সরকারের টিকে থাকার একমাত্র ভরসা। তাই দেশকে বিরোধী দলহীন করার জন্য সরকার তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও সরকারি যন্ত্রকে লাগামহীনভাবে ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি লাকসাম পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করেছে। আমি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রহীনতা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণেই নির্বাচন নিয়ে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। বিনা ভোটে স্থানীয় ক্ষমতা আয়ত্তে নিতে বিএনপিসহ বিরোধী প্রার্থীদের ওপর চালানো হচ্ছে নির্যাতন-নিপীড়ন। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আধিপত্য বজায় রাখতে বিরোধী প্রার্থীদের রক্তে হাত রঞ্জিত করছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার ভোট নিয়ে হুমকি প্রদান ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, যাতে ভোটাররা নির্বাচনী পদ্ধতি ভুলে যায়। আর সেটিরই ধারাবাহিক অংশ হিসেবে লাকসামে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সশস্ত্র তাণ্ডব চালানো হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, লাকসাম পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী বেলাল রহমান মজুমদার, কাউন্সিলর প্রার্থী ও পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মানিক, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল মিয়া, বিএনপি নেতা শাহ আলমের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিষ্ঠুর হামলা এবং তাদের গুরুতর আহত করার ঘটনায় এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান দূরের কথা, বিএনপিসহ বিরোধী প্রার্থীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে বিনা ভোটে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।