সংরক্ষিত বনভূমির অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযানের

Published: 18 December 2020

আব্দুর রব, বড়লেখা : দেশের সংরক্ষিত বনভূমির ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর সরকারী ভুমি ৮৮ হাজার ২১৫ ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সরকারী সফর শেষে ঢাকায় ফেরার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি।

জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘সংরক্ষিত বনভূমির জবরদখল উদ্ধারে গৃহীত ব্যবস্থা গ্রহণ’ সংক্রান্ত বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বন বিভাগের নামে রেকর্ডকৃত অবৈধ দখলকৃত সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারে প্রথম অভিযান চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার বনবিভাগের অবৈধ দখলকৃত সংরক্ষিত বন উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। পরবর্তীতে দেশের অবশিষ্ট অঞ্চলের অবৈধ বনভূমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সভায় জানানো হয়, ১৪০ জন জবরদখলকারী ৮২০.৩৪ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং কলকারখানা স্থাপন করেছেন। ৫৯৮২ জন জবরদখলকারী ১৪১৪৯.১৭ একর সংরক্ষিত বনভূমি জবর দখল করে হাটবাজার, দোকান, রিসোর্ট/কটেজ, কৃষি ফার্ম ও শিক্ষা প্রতষ্ঠান স্থাপন করেছে। ৮২০৯৩ জন ব্যক্তি ১২৩৬৪৩.৫৫ একর সংরক্ষিত বনভূমি অবৈধ দখল করে ঘরবাড়ি, কৃষি জমি তৈরি করেছে। সারাদেশে মোট ৩৩১০৯০৭.৫২ একর সংরক্ষিত বনভূমির ১৩৮৬১৩.০৬ একর মোট ৮৮২১৫ জন জবরদখল কারী দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বনের নামে রেকর্ডকৃত সকল সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।

বেশি বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে এমন ১২ টি জেলার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত এ বিশেষ অভিযান মনিটরিং ও সমন্বয় করার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত এসকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা কামনা করা হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মনিরুজ্জামান, প্রাধন বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও বন অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।