বানিয়াচংয়ে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত

Published: 18 December 2020

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা :  হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে হাওরের পুরাখালের বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামের কয়েক শ’ মানুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বানিয়াচং উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের কামালখানী গ্রাম ও মজলিশপুর গ্রামের সীমান্তে হাওরে বাঁধ দেয়ার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার সকাল ৮টায় সংঘর্ষটি শুরু হয়ে বেলা ১টার সময় পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষে দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে।


এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় হবিগঞ্জ থেকে দাঙ্গা পুলিশ নিয়ে আসা হয়। উভয় পক্ষের গুরুতর আহতরা হলেন, আবিদুর (৩০), লাল মিয়া (৩৫), মনছুর (৪০), অলি হোসেন (৩৭), জমির (৩৬), অপু সরকার (৩০), নিপু (৩০), সাজিদ (২৩), নূরুল আমীন (৪০), সাজলু (৩১), ফজলু (৪২), জিলু (২৮), নাজমুল (২৮), হারুন (৩৮), জসিম (৪০), আনসার মিয়া (৩৭), মজলিশপুর গ্রামের নজির মিয়া (২৫)। আহতদের বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দও আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানিভাঙ্গা নামকস্থানে পুরাখালে কামালখানী গ্রামের লোকজন বাধ দেয়ায় মজলিশপুর গ্রামের লোকজন গত বৃহস্পতিবার বাঁধটি ভেঙে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে কামালখানী গ্রামের লোকজন মজলিশপুর গ্রামের লোকজনের নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে সঠিক জবাব না পেয়ে তাদেরকে বাঁধের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে মজলিশপুর গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়। এ দিকে কামালখানী গ্রামের লোকজনও তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষটি থামাতে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়ার পরও দফায় দফায় সংঘর্ষটি চলতে থাকে। বানিয়াচং থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দুর্গম হাওরের মাঝে দুদল গ্রামবাসী বাধ দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্তমানে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি থানা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি সহ উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষকে শান্ত করেছে। সব কিছু এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।