প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পূর্তি উদযাপন করলো চ্যানেল এস

Published: 19 December 2020

স্টাফ রিপোর্টার : ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনটির প্রথম ফ্রি-ভিউ টেলিভিশন, চ্যানেল এস ১৬ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে বুধবার। করোনা ভাইরাসের সীমাবদ্ধতার কারণে এবারই প্রথম চ্যানেল এস দর্শকদের উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো।

বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রিয় চ্যানেল, চ্যানেল এসের জন্ম দিন হওয়ার কারণে ১৬ ডিসেম্বর সাধারণত উতসব মুখর থাকে চ্যানেল এস স্টুডিয়। কিন্তু এবার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন ছিলো ভার্চুয়াল।

জুম এ্যাপের মাধ্যমে ব্রিটেন সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শক ও কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা প্রতিষ্ঠা বাষিকীর আয়োজনে যোগ দেন ভার্চুয়ালী।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, সর্বদা কমিউনিটি সেবার পাশাপাশি চ্যানেল এস মানবতার কল্যানে কাজ করে প্রবাসে বাঙালী চ্যানেল হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষ করে করোনাকালে এনএইচএসের জন্য ফান্ড রেইজিং এবং দেশ-বিদেশে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসিত কাজ করেছে চ্যানেল এস।

চ্যানেল এসের হেড অব প্রোগ্রাম ফারহান মাসুদ খানের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর লাইভ আলোচনায় ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন লেবার পার্টির প্রধান স্যার কিয়ার স্টারমার, লন্ডন মেয়র সাদিক খান ও ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের মেয়র এন্ডি স্ট্রিট।

ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান লেবার লিডার স্যার কিয়ার স্টারমার। তাঁর বাংলাদেশ ভ্রমনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে লেবার পার্টির লিডার নির্বাচিত হবার আগে ঢাকা এবং সিলেট সফর করে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অভিভুত হন তিনি। মহান বিজয় দিবসের দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি। কমিউনিটির উন্নয়ন এবং সেবা কাজে চ্যানেল এসের ভুমিকার প্রশংসা করেন লেবার লিডার। বিলেতের বাঙালী কমিউনিটির সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কের গভীরতার কথা উল্লেখ করে স্যার কিয়ার স্টারমার বলেন, বিলেতে বাঙালী কমিউনিটির প্রথম কাউন্সিলর, প্রথম মেয়র, প্রথম এমপি লেবার পার্টির মাধ্যমে অর্জন করেছে বাঙালী কমিউনিটি।

অন্যদিকে ভিডিও বার্তায় মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান লন্ডন মেয়র সাদিক খান। কমিউনিটির সেবায় নিবেদিত চ্যানেল এসের প্রশংসাও করেন তিনি। বিশেষ করে করোনা মহামারীতে কমিউনিটির পাশে দাঁড়ানোর জন্যে চ্যানেল এসের প্রশংসা করেন লন্ডন মেয়র সাদিক খান।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য অতিথিরাও করোনা ভাইরাসের কঠিন সময়ে সম্মুখ সারির যোদ্ধ হিসেবে চ্যানেল এস যেভাবে এখানে কমিউনিটি এবং বাংলাদেশে অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছে সে কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

চ্যানেল এস টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যে সবার প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, করোনার বিধি নিষেধ মেনে এবার অনুষ্ঠান হয়েছে। এ কারণে কমিউনিটির কাউকে দেওয়াত দেওয়া হয়নি। সর্বদা চ্যানেল এসের পাশে থাকার জন্য তিনি কমিউনিটির সবার প্রতি আহ্বান জানান।

চ্যানেল এসের প্রতিষ্ঠাতা মাহি ফেরদৌস বলেন, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির জন্য চ্যানেল এসে নিজস্ব স্টাফ ছাড়া ছিলেন না কোন আমন্ত্রিত অতিথি। তবে তিনি মনে করেন, কোভিড নাইনটিন নতুন যে প্রযুক্তির সাথে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, চ্যানেল এসও সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভার্চুয়ালী আরো বেশী দর্শকদের সংযুক্ত করতে পেরেছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চ্যানেল এস আবারও কমিউনিটির প্রবীন এবং নবীনদের নিয়ে কাজ করবে বলে জানান মাহি ফেরদৌস। গত রামাদান থেকে শুরু করে করোনাকালে ফান্ড রেইজিংয়ে চ্যানেল এসের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং সর্বদা বিজ্ঞাপন দিয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।