হোয়াইট হাউসে ষড়যন্ত্র!
পোস্ট ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে হোয়াইট হাউসে তাঁর বিশেষ মিত্রদের নিয়ে একটি সভা করেছেন গত শুক্রবার।
এই সভায় মার্শাল ল জারি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যা নিয়ে মার্কিন মিডিয়ায় চলছে তোলপাড়।
আ্যটর্নি সিডনী পাওয়েলকে গত ৩রা নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে তথাকথিত জালিয়াতির তদন্ত করতে বিশেষ কাউন্সিল পদে নিয়োগ দিতে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এনিয়ে এক গোপন সভার আয়োজন করা হয় বলে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এই সভায় সিডনী ছাড়াও তাঁর মক্কেল প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমায় গুরুতর অভিযোগ থেকে মুক্ত সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন, হোয়াইট হাউসের চীফ অব ষ্টাফ মার্ক ম্যাডোস, হোয়াইট হাউসের কাউন্সিল প্যাট এ,চিপোলন সহ ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও ঘনিষ্ঠ স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সভায় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত প্রধান আইনজীবী রুডলফ জুলিয়ানী টেলিফোনে যোগ দেন। নিউইয়র্ক টাইমস এই আলোচনায় উপস্থিত এমন দুই ব্যক্তির বরাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। সভায় মাইকেল ফ্লিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মার্শাল ল জারি করার আহবান জানিয়ে এ বিষয়ে তাঁর পরিকল্পনা তুলে ধরেন। প্রেসিডেন্টকে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে পুননির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে আসার পরামর্শ দেন ফ্লিন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ধারণা সম্পর্কে জানতে চান।
আ্যটর্নী পাওয়েল ভোটিং মেশিন নিয়ে জালিয়াতিতে ভেনিজুয়েলা জড়িত এমন ষড়যন্ত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রধান আইনজীবী জুলিয়ানী, হোয়াইট হাউসের চীফ অফ ষ্টাফ, কাউন্সিল এবং প্রেসিডেন্টের বেশির ভাগ উপদেষ্টারা এইসব প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা করেন। কেউ কেউ আইনি প্রশ্নও উত্থাপন করেন এনিয়ে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন প্ল্যান নিয়ে সামনে অগ্রসর হবেন কিনা সেটা পরিস্কার নয় বলে নিউইয়র্ক টাইমস উল্লেখ করে। আলোচনায় এক পর্যায়ে অনেকে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং পরিস্থিতি খানিক উত্তপ্ত হয়ে উঠে বলে সভায় উপস্থিত একজন টাইমসকে জানান। তিনি বলেন, অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা এমন আলোচনার বিরোধীতা করে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে আ্যটর্নি সিডনী পাওয়েলকে আজও হোয়াইট হাউসে দেখা গেছে। সিএনএন তাঁদের এক রিপোর্টে জানায় রোববার রাত ৯টায় পাওয়েলকে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ এক টুইটে নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টকে ফেক নিউজ এবং একটি বাজে রিপোর্ট বলে উল্লেখ করেছেন।