করোনাভাইরাস..
নিবিড় পর্যবেক্ষণে ব্রিটেন

Published: 21 December 2020

পোস্ট ডেস্ক : ব্রিটেনে নতুন একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করোনা ভাইরাসের বিস্তারের প্রেক্ষিতে লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে সর্বোচ্চ পর্যায়ের লকডাউন দেয়া হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় বেশ কিছু দেশ, কানাডা, ইরান বৃটেনের সব যাত্রীবাহী ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজরদারি করছে এশিয়া। এখনো কোনো ফ্লাইট বাতিল ঘোষণার খবর পাওয়া যায়নি এশিয়া থেকে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। এ অবস্থা ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ। তবে এশিয়ার কোনো দেশে এখন পর্যন্ত নতুন ওই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের খবরও পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেকেউ প্রবেশ করলে তাকে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

দেশটি সোমবার বলেছে, ব্রিটেন থেকে দক্ষিণ কোরিয়াগামী ফ্লাইটের বিষয়ে নতুন কি ব্যবস্থা নেয়া যায় তারা তা পর্যালোচনা করে দেখছে। ব্রিটেন থেকে সেখানে কেউ গেলে তাদেরকে কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত করার আগে দু’বার করে পরীক্ষা করে দেখা হবে। গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় দিনে এক হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। রোববার সেখান থেকে খবর পাওয়া যায় যে, রাজধানী সিউলে একটি কারাগারের ১৮৮ জন বন্দি এবং স্টাফের মধ্যে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। দেশটির হাসপাতালগুলোতে বেডের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সোমবার বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের শেষের দিকে এক স্থানে চার জনের বেশি মানুষ জমায়েত নিষিদ্ধ করা হতে পারে। বছর শেষে সেখানে করোনা ভাইরাসে জটিল আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে বেড দ্বিগুণ করার প্রয়োজন হতে পারে।

ওদিকে তাইওয়ানেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিয়ম কার্যকর আছে। তারা রোববার বলেছে, ব্রিটেন থেকে যাওয়া কোনো ফ্লাইট বন্ধ করার পরিকল্পনা এখনও তারা নেয় নি। অন্যদিকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত সরকারের একটি কমিটি। নতুন ধরনের করোনার বৈশিষ্ট্য নিয়ে সোমবার ওই কমিটির বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। তবে ব্রিটেন থেকে কোনো ফ্লাইট স্থগিত করা হবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এখানে উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে যদি ভ্রমণের ৭২ ঘন্টা আগে করোনা নেগেটিভ সনদ থাকে তাহলে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার বাধ্যবাধকতা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আক্রান্তের দিক দিয়ে ভারত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

জাপান তো নীতিগতভাবে এরই মধ্যে ব্রিটেন থেকে ফ্লাইট তার দেশে নিষিদ্ধ করেছে। তবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তারাও পরিস্থিতিতে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে। নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস কিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে সেদিকে দৃষ্টি রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।