পৌরসভা নির্বাচন
কুলাউড়ায় মেয়র পদে শিক্ষক, কোটিপতি, প্রাবাসী ও কৃষকের লড়াই

Published: 23 December 2020

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে ২২ ডিসেম্বর।

কেবল ৩ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। ৪ মেয়র প্রার্থীর দেয়া হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুসারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র শফি আলম ইউনুছ কোটিপতি আর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সিপার উদ্দিন আহমদ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।

কুলাউড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র শফি আলম ইউনুছ ২০১৫ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। বহিষ্কার হন দল থেকে। চলতি পৌরসভা নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হন। ২য় বারের মত বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে দিয়েছেন মনোনয়নপত্র জমা। হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুসারে তিনি কোটিপতি। স্বশিক্ষিত শফি আলম ইউনুছের বাৎসরিক আয় ৪০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৬৬ টাকা। নগদ অর্থসহ বিভিন্ন খাতে তার সম্পদ রয়েছে ৪ কোটি, ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৭৫ টাকার। এছাড়া কৃষি জমি ২ হাজার ২০ শতক, অকৃষি জমি ৫৩ দশমিক ৬০ শতক, দালান ৩৫ শতক এবং বাড়ি ১৫ শতক। প্রাইম ব্যাংক কুলাউড়া শাখায় তার ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ রয়েছে।
হলফনামায় মেযর শফি আলম ইউনুছ উল্লেখ করেন তিনি মেয়র হিসেবে সম্মানী গ্রহণ করেন বছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বছরে শুধু সম্মানী থেকে নিয়েছেন ২৪ লাখ টাকা। অথচ বিগত নির্বাচনে তিনি শপথ করেন পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত একগ্লাস পানিও তিনি পান করবেন না। সম্মানীর অর্থ তিনি দরিদ্র মানুষের গৃহ কর মওকুফে বিলিয়ে দেবেন।
আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সিপার উদ্দিন আহমদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। একটি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বাৎসরিক আয় ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫২৮ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ২৬ লাখ ৭ হাজার ২৩২ টাকার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ৯ একর কৃষি জমি, বাড়ি এক দশমিক ৭৬ একর। জনতা ব্যাংক কুলাউড়া শাখায় ১০ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে। ৪টি ফৌজদারি মামলার সবগুলোই নিষ্পত্তি হয়েছে।
বিএনপি মনোনীত ও কুলাউড়া পৌরসভার সাবেক ২ বারের মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ এইচএসসি পাস। দু’টি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতিপ্রাপ্ত। পেশায় কৃষক কামাল উদ্দিন আহমদের বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। রয়েছে ৮লাখ ৪৭ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি। ২ হাজার ৫৭৫ একর অকৃষি জমি, দোকান ৫টি, ২০দশমিক ৮৮ শতকের যৌথ মালিকানাধীন বাড়ি রয়েছে।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শাহজাহান আহমদ ৫ম শ্রেণি পাস। মধ্যপ্রাচ্যের কাতার প্রবাসী হলেও হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে কৃষক উল্লেখ করেছেন। তবে বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যা বৈদেশিক রেমিট্যান্স থেকে আসে। অস্থাবর সম্পত্তি ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার।