দিরাইয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টা, গ্রেফতার নেই

Published: 27 December 2020

বিশেষ সংবাদদাতা :  সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।

তবে ওই ছাত্রী নিজেকে বাঁচাতে বাস থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আজ রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে পুলিশ এখনো অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি।

এসপি জানান, ঘটনার শিকার কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামি করে দিরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মদনপুর সড়কের সুজানগর এলাকায় চলন্ত বাসে ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বাসটির চালক ও হেলপাররা। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য দিরাই পৌর সদরের বাসিন্দা ওই ছাত্রী বাস থেকে নিচে লাফ দেন।

আহত কলেজ ছাত্রীকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত ওই ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে মেয়েটির স্বজন ও থানা পুলিশ হাসপাতালে আসে। পরে পুলিশ বাসটি আটক করে।

এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সন্ধ্যায় দিরাই থানা পয়েন্টে অবরোধ করে স্থানীয়রা।

মেয়েটির চাচা বলেন, সিলেট এলাকায় তার বোনের বাড়িতে গিয়েছিল। আজ তার বোন জামাই অজিত দাস ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহন নামের (সিলেট-জ ১১-০৭২৩) লোকাল বাসে তুলে দেয়। পথি মধ্যে গাড়ির যাত্রীরা একে একে নেমে গেলে গাড়িটি এক পর্যায়ে ফাঁকা হয়ে যায়। লোকাল বাস হলেও নতুন যাত্রী উঠানো থেকে বিরত থেকে গাড়ির স্টাফরা। চালক হেলপার মিলে আমার ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সুজানগর এলাকায় এসে গাড়ি থেকে লাফ দেয় ভাতিজি।

দিরাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিদ্যুৎ দাস বলেন, মেয়েটির মাথায় হাতে জখম ছিল। তাঁকে সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দিরাই বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি রেখে চালক হেলপার পালিয়ে যায়। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। আসামিদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।