জোয়ারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি
মাতারবাড়ীতে ভিড়েছে জাহাজ

Published: 29 December 2020

বিশেষ সংবাদদাতা : বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের জন্য অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি।

বহিনোঙর থেকে সরাসরি অনায়াসে এবং সফলভাবে চ্যানেল অতিক্রম করেই মাতারবাড়ী নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দরের জেটিতে এই প্রথম ভিড়েছে জাহাজ।
আজ তখন সকাল ১০টা। পানামার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক এই জাহাজের নাম ‘এমভি ভেনাস ট্রায়াম্ফ’।
আর, এর মধ্যদিয়ে মহেশখালী দ্বীপের মাতারবাড়ীতে ইতিহাস সৃষ্টি হলো। মার্চেন্ট জাহাজটি ভিড়ার সময় থেকেই দেশি ও বিদেশি নির্মাণ প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, শ্রমিকরা আনন্দ প্রকাশ করছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তাগণ জানান, ‘এমভি ভেনাস ট্রায়াম্ফ’ জাহাজ যোগে ৩১৩ প্যাকেজে ৭৩৬ টন স্টিলের নির্মাণ কাজের অবকাঠামো, যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি আনা হয়েছে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য। এর মধ্যে রয়েছে বিম, কলাম, গার্ডার, টাওয়ার ইত্যাদি। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট অ্যানসাইন্ট স্টিমশিপ কোম্পানি লিমিটেড। জাহাজটি এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তদারকিতে মাতারবাড়ীতে প্রথম জাহাজটি ভিড়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজও তদারক করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাইকার গবেষণায় এই বহুমুখী সুবিধা সম্পন্ন গভীর সমুদ্র বন্দরের বিশাল সম্ভাবনা উদঘাদিত হয়েছে। জাইকার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে।
মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনে মোট ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাইকার ঋণ সহায়তা ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দিচ্ছে ২ হাজার ২১৩ কোটি টাকা।
পানামীয় ‘ভেনাস ট্রায়াম্ফ’ জাহাজটিকে চট্টগ্রাম
বন্দরের চৌকস দুইজন সিনিয়র পাইলটের নেতৃত্বে অতি সতর্কতার সাথে বন্দরের টাগবোট ‘কাণ্ডারী-৮’ এর সহায়তায় আজ সকাল ১০টায় জেটিতে এনে ভিড়ানো হয়। এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।
মাতারবাড়ী নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলের ড্রাফট বেশি থাকায় জোয়ারের জন্য বহির্নোঙরে অপেক্ষা করতে হয়নি। জাহাজটি সরাসরি জেটিতে ভিড়তে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের পোর্ট শিপিং ইতিহাসে এটি মাইলস্টোন ও মাহেন্দ্রক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে এমনটি মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।