রাত পোহালেই রাজা বাদশাহ আর খেটে খাওয়া মানুষের রক্ষা পাওয়ার একই বৃক্ষতলে অভিনব নতুন বৎসর ২০২১

Published: 31 December 2020

শফি আহমেদ :

রাত পোহালেই নববর্ষের আলোয় ফুটে উঠবে কালকের নতুন সকাল। পাখিরা প্রতিদিনের মতই কাঁচা রোদ্দুর নিয়ে মেতে উঠবে নতুন উৎসবে। বাতাসে ভাসবে কুজন গীতি। আমাদের কানে ভোরের পাখিদের মনোলোভা গানের সুরগুলো ভেসে আসুক কিবা না, আমাদের খোলা চোখের সামনে নিসর্গের মাঠ ভরে এমন সব জানা অজানা লীলা খেলা প্রতিনিয়ত হচ্ছে।
নীলাম্বরী বিভায় চমকে শেষ রাতের তিমির থির,  ঊষার স্বর্ণ চূড়া হতে সূর্যের লালিম গালিচা আমাদের ধুলোবালির মাটিতলায় বিছানো হতেনা হতে কোন তেপান্তর যে উধাও হয় রহস্যপ্রিয় আবরু নিশীথিনী কে দিতে পারে সে হদিস? ঐ সে চলে যাওয়া সুদূরিকার অলকের অন্তিম ধুসর ছায়াটুকরোয় বুঝি নিবে যায় রাতের সব তারা। সূত্র হারা বুলবুলি, সাধে কি আর রোজ সকালে সুধাভরা গোলাপের কর্ণকুহর ভরে বিলাপী ছন্দে। সব কিছু জানা যায়না, সব পা মেপে ফেলা যায়না। এভাবে আমরা সৃষ্টজীবের সীমার দেয়াল প্রতিনিয়তই পরিলক্ষিত হয়।
আজ দু’হাজার বিশ সালের শেষ রাত। এ বৎসরের দেয়ালের সীমায় এসে এ চির  সত্যটা খুব অনুভব হচ্ছে। জীবন যাপনে, আমরা মানব সমাজ যে এক বৃহত্তর শক্তির কাছে কত অসহায় হতে পারি সেটা এই বৎসর পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর জন সমাজ খুব ঘাড় ভাবেই অনুভব করেছেন বলে আমর বিশ্বাস।
রাজা, বাদশাহ, সাধারণ, অসাধারণ, পেসাধার, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, মিডিয়া কর্মী,  ডক্টর, রাজনীতিবিদ, সেলেব্রেটি ও খেটে খাওয়া মানুষ এক করোনার ছোবল থেকে রক্ষা পেতে এ বৎসর আমরা সবাই এক কাতারে প্রত্যাশী ছিলাম।
জাত-বেদ নির্বিশেষে এখনো আমরা রক্ষা পাওয়ার বৃক্ষতলে দণ্ডায়মান। নতুন বৎসর ২০২১ শাল নতুন ধারা নিয়ে আসুক। মহান আল্লাহ পাক আমাদের রক্ষা করুন, আমাদের অবস্থার পরিবর্তন করুন। রাত শেষে যদি সূর্য না উঠে ভোরের আলো ফুটানোর ক্ষমতা কোনো সৃষ্টজীবের নেই।
এটা শুধু এক বিশ্ব প্রতিপালকই করতে পারেন। সমস্ত ক্ষমতা তিঁনিরই। আর এটা, এ বিশ্ব পরিচালনা, তিঁনি খুব ভালোবেসেই রহমের সাথে করে থাকেন। তাই কোরান মজীদে শুরুতেই মহান প্রভু আল্লাহ পাক বলেন ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’।  তাঁরই কাছে বিনীত প্রার্থনা শুভ হোক নতুন বৎসর ২০২১।