ঢাকার বিস্ফোরণে লণ্ডভণ্ড ভিক্টোরি হোটেলের দুই কক্ষ, আহত ৬

Published: 10 March 2021

পোস্ট ডেস্ক : রাজধানীর নয়াপল্টনে অভিজাত আবাসিক হোটেল ভিক্টোরিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পাঁচতলার দুটি কক্ষ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যার পর ওই বিস্ফোরণে হোটেলে থাকা কোনো অতিথি হতাহত না হলেও নিচে থাকা অন্তত ছয় পথচারী আহত হয়েছেন। ঘটনার পর ১৬ তলা ভবনের হোটেলটিতে থাকা অতিথি ও নিচে ব্যস্ত সড়কের পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাথমিকভাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা গিজার বিস্ফোরণে ওই ঘটনা ঘটে বলে মনে করছে স্থানীয় থানা পুলিশ। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পুলিশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দলকে তলব করা হয়েছে। হোটেলটি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশেই অবস্থিত।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ হোটেল ভিক্টোরির পঞ্চমতলা থেকে পরপর বিস্ফোরণের কয়েকটি শব্দ পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওপর থেকে ইটের টুকরা ও কাচের টুকরা পড়তে থাকে। এতে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়া গাড়ি ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হোটেলে থাকা লোকজনও আতঙ্কে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন।

পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া বলেন, হোটেলটির পঞ্চমতলার ৪০৫ ও ৪০৬ নম্বর কক্ষে ওই বিস্ফোরণ হয়। এর একটি কক্ষ ফিলিপাইনের একজন নাগরিক ও অপর কক্ষ একজন বাংলাদেশির নামে বরাদ্দ ছিল। তবে ঘটনার সময়ে তারা কক্ষে ছিলেন না। তিনি বলেন, পুরো কক্ষ দুটি রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভেতরে ফলস সিলিং, এয়ারকন্ডিশনারসহ আসবাবপত্র লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। দুটি কক্ষের মাঝের দেয়াল ভেঙে ইট ও রড বেরিয়ে গেছে। ভেতরে লোকজন থাকলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতো। তা ছাড়া ঘটনার সময়ে ভিআইপি রোডে সিগন্যাল বন্ধ থাকায় যান চলাচলও কম ছিল। তা না হলে নিচেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতো। পাঁচ থেকে ছয়জন পথচারী আহত হলেও তাদের মধ্যে এক রিকশাচালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তারা ধারণা করছেন, এয়ারকন্ডিশনার বা গিজার থেকে ওই বিস্ফোরণ হতে পারে। কক্ষ দুটি বন্ধ থাকায় ভয়াবহতা ছড়িয়েছে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য সংস্থাও আলামত সংগ্রহ করেছে।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন বলেন, বিস্ফোরণের খবরে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে বিস্ফোরণের পর আগুন না লাগায় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসেরও কাজ করতে হয়নি। বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ভিক্টোরি হোটেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।