কুষ্টিয়ায় যে কারণে শিশুসহ ৩ জনকে হত্যা করে পুলিশের এএসআই সোমেন

Published: 13 June 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা :


কুষ্টিয়ায় দিনদুপুরে শিশুসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আটক হওয়া ব্যক্তি পুলিশের কর্মকর্তা। তার নাম সোমেন (৫০)। তিনি খুলনার ফুলতলা ক্যাম্পে এএসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।

শহরের কাস্টম মোড় এলাকায় রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এক নারী, তার সাত বছরের শিশু সন্তান ও তাদের সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়। এতে তিনজনই মারা যান।

নিহতরা হলেন- আসমা খাতুন (৩০), তার শিশু সন্তান রবিন (৭) ও শাকিল (২৮)।

গুলি করে পালানোর সময় ঘাতককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ঘাতকের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। পরে দুপুর ২টার পর জেলা পুলিশ সুপার খায়রুল আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ওই বক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিন খুনে জড়িত সোমেন এএসআই হিসেব কুষ্টিয়া হালসা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। কয়েকদিন আগে বদলি হয়ে তিনি খুলনার ফুলতলা ক্যাম্পে যোগদান করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আসমা খাতুনের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার সেওতা গ্রামে। রবিন তার প্রথম স্বামীর সন্তান। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর দেড় বছর আগে পুলিশ কর্মকর্তা সোমেনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। সম্প্রতি তাকে ছেড়ে প্রতিবেশী শাকিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সোমেন। এজন্য ক্ষুব্ধ হয়ে তিনজনকে হত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল ইসলাম বলেন, শহরের কাস্টম মোড় এলাকায় তিনজনকে গুলি করে এক দুর্বৃত্ত। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারী ও হাসপাতালে নেওয়ার পর তার শিশু সন্তান মারা যায়। আর গুরুতর আহত অবস্থায় অন্যজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পরই স্থানীয় জনতা অভিযুক্তকে আটকে করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।