তোপের মুখে শুভেন্দু

Published: 15 June 2021

পোস্ট ডেস্ক :


ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনের পর বিজেপির লাইমলাইটে চলে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতার মতো হাইপ্রোফাইল নেত্রীকে হারানোর পর ভারতজুড়ে আলোচনায় তিনি। যদিও ওই আসনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। ভারতীয় মিডিয়াও প্রথমবার মমতাকে জয়ী হিসেবে দেখায়। পরে নির্বাচন কমিশন শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করে। তৃণমূল কংগ্রেস ভূমিধস জয় পাওয়ায় পরে আর এ নিয়ে কোনো আওয়াজ তুলেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের নেতা মনোনীত হন এক সময়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত অনুগত শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কর্মীদের রক্ষা করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে শুভেন্দুর প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এক পর্যায়ে তাকে তলব করে দিল্লিতে ডেকে নেন বিজেপি সভাপতি নাড্ডা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এবার সেই শুভেন্দুর প্রতি নতুন অভিযোগ দিচ্ছে বিজেপির কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, শুভেন্দু শুধু তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা নেতাদেরকেই সময় দেন। বিজেপির মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী কর্মীদের কথা শুনার সময় তার নেই।

যে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বিপাকে শুভেন্দু!

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকার কথা সবসময় বলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিজেপির এক কর্মী অভিযোগ তুলছেন যে, শুভেন্দুকে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সাড়া দেননি বিরোধী দলনেতা। এই দাবি করে ওই বিজেপি কর্মীর স্ক্রিনশট শেয়ার করলেন বিজেপি নেতা ও তিন রাজ্যের সাবেক রাজ্যপাল তথাগত রায়। তার ওই রিটুইটে আলোচনার ঝড় বইছে।

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোলপাড় করে দেওয়া তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছেন। তাতে অস্বস্তি শুধু শুভেন্দুর নয়, গোটা দলের বেড়েছে। বিজেপিতে কর্মীরাই সব বলে জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার পর এটাই ছিল ভোকাল টনিক। যাতে কর্মীরা হাতছাড়া না হয়।

দিবাকর দেবনাথ নামে এক বিজেপি কর্মী টুইটারে লেখেন, ‘‌আমি দু’‌পা বাড়িয়ে রেখেছিলাম। হয়তো আমাদের মতো কর্মীদের দরকার নেই তাই বারবার ফোন কেটে দিয়েছেন। আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে আসা নেতাদের খুশি করতে ব্যস্ত। তাই আমাদের কথা শোনার সময় নেই। তাহলে আমরা কেন আপনাদের নেতা মনে করে জীবন হাতে নিয়ে লড়াই করব?’‌

এই কথাগুলি শুভেন্দু, দিলীপ এবং তথাগতকে ট্যাগ করেছেন তিনি। এমনকি শুভেন্দুকে পাঠানো তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। ফলে অস্বস্তি বেড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। এই ঘটনা শুভেন্দু অধিকারী–দিলীপ ঘোষ চেপে গেলেও তা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন তথাগত রায়। তাতে আরও অস্বস্তি বেড়েছে।
একদিকে বিজেপির বিধায়ক ও সংসদ সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে আতঙ্ক বিরাজ করছে গেরুয়া শিবিরে। আরেকদিকে দলীয় কর্মীদের এসব অভিযোগ; সব মিলিয়ে তোপের মুখে রয়েছেন মমতা সরকারের সাবেক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।