ককটেল থেরাপিতে মৃত্যুর আশঙ্কা ৭০ শতাংশ কমে যাচ্ছে

Published: 20 June 2021

বিশেষ সংবাদদাতা :


করোনা চিকিত্‍সায় আধুনিক পদ্ধতি ককটেল থেরাপি। যা কোভিড আক্রান্তের মৃত্যুর আশঙ্কা কমিয়ে দেয় ৭০ শতাংশ। এমনটাই দাবি করছেন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিশেষজ্ঞরা। শরীরের অ্যান্টিবডি ককটেল প্রয়োগ করে সুস্থ করে তোলা হয়েছিল আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কি এই অ্যান্টিবডি ককটেল?
ক্যাসিরিভিমাব এবং ইমডেভিমাব ওষুধ দিয়ে তৈরি হয় এই ককটেল। ক্যাসিরিভিমাব এবং ইমডেভিমাব হলো ইমিউনোগ্লোবিন জি-১ মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিজ। শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার উপকরণ যোগায় এই সংমিশ্রন। এই ককটেল মূলত করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকেই নিশানা কোষে ঢুকতে বাধা দেয়।

এই থেরাপির একটি ইঞ্জেকশনের দাম ৬০ হাজার টাকা। তবে এই থেরাপি যে কোনও রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায় না।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে এবং মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা উচিত। পাশাপাশি যারা ১২ বছরের ঊর্ধ্বে এবং ওজন ৪০ কেজির বেশি তারাই নিতে পারবেন এই থেরাপি। হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন এমন রোগীর স্যালাইনের সঙ্গে ৬০০ মিলিগ্রাম এই সংমিশ্রণ মেশানো হয়। ওই সংমিশ্রণ সাধারণত ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা হয়। ঘণ্টাখানেক থেরাপি চলার পর রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিত্‍সকরা। ককটেল থেরাপির পর সাময়িক কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মূলত অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন রোগীরা। এই থেরাপির একটি ইঞ্জেকশনের দাম ৬০ হাজার টাকা।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন , ভাইরাসের সংক্রমণ হলে শরীর নিজে থেকেই অ্যান্টিবডি তৈরি করে। আর এই অ্যান্টিবডি হলো কৃত্রিম উপায়ে তৈরি। সহজ করে বললে মানুষের শরীরের বাইরে কৃত্রিমভাবে এই অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। কোভিড ভাইরাস শরীরে ঢুকলে তার প্রতিক্রিয়ায় ১৪ দিন পর অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। ততদিনে ভাইরাস কোষগুলোকে সংক্রমিত করে ফেলে। তাই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগে থেকেই এই অ্যান্টিবডি ককটেলের ডোজ দেয়া যায় , তাহলে জটিল অবস্থা তৈরিই হবে না। রোগী তাড়াতাড়ি রোগমুক্ত হবে।