কানাডায় রানী ভিক্টোরিয়া ও এলিজাবেথের ভাস্কর্য উপড়ে ফেলার নেপথ্যে

Published: 3 July 2021

পোস্ট ডেস্ক :

কানাডার উইনিপেগ শহরে স্থাপিত ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়া ও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভাস্কর্য উপড়ে ফেলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উইনিপেগ শহরে ম্যানিটোবা প্রদেশের আইনসভার সামনে থাকা রানী ভিক্টোরিয়ার ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা।

কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ব্রিটিশ কলম্বিয়ার পরিত্যক্ত ক্যাথলিক স্কুল থেকে কয়েক শত শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রিটিশ রানীদের এসব ভাস্কর্য ভাঙা হয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।

ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার আগে বিক্ষোভকারীদের চিৎকার করে বলতে শোনা যায় ‘গণহত্যায় কোনো গর্ব নেই’। এসময় মাটিতে পড়ে থাকা ভাস্কর্যটিকে লাথি দিতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। অনেকে আবার এটি ঘিরে নাচতেও থাকে। এ সময় ঘটনাস্থলের কাছে থাকা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভাস্কর্যটিও ভেঙে ফেলা হয়।

কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং সাসকাচোয়ান প্রদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আবাসিক স্কুলে ১ হাজারের মতো শিশুর গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের অর্থায়নে এসব স্কুল ক্যাথলিক চার্চদের দ্বারা পরিচালিত হতো।

১৮৬৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এসব স্কুলে দেড় লাখের বেশি আদবাসী শিশুকে পরিবারের কাছ থেকে জোর করে তুলে আনা হয়। এসব শিশুকে নিজেদের ভাষায় কথা বলতে এবং নিজেদের সংস্কৃতি চর্চা করতে দেওয়া হতো না। তাদের নানাভাবে নির্যাতন করা হতো।

শিশুদের গণকবর খুঁজে পাওয়ার পর কানাডাজুড়ে তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিশুদের পক্ষে বৃহস্পতিবার কানাডার টরেন্টোতেও বিক্ষোভ হয়।

এদিকে রানীর ভাস্কর্য অবমাননার নিন্দা জানিয়েছে ব্রিটেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকার রানীর ভাস্কর্য অবমাননার নিন্দা জানায়’।

তিনি আরও বলেন, মর্মান্তিক ঘটনায় (শিশুদের গণকবর) আমরা কানাডার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সঙ্গে আছি। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের বিষয়টি নিয়ে কানাডা সরকারের সঙ্গে কাজ করছি।