মাধবপুরে চলছে স্কুলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ

Published: 8 September 2021

হামিদুর রহমান, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে :


মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোরদের আনন্দ-উল্লাস যেন হারিয়ে গেছে। সকাল বেলা স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীর পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে জাতীয় সংগীত, শরীরচর্চা এসব কিছু যেনো করোনার কাছে হার মেনেছে। তবে শিক্ষার্থীদের এই অপেক্ষা পালা শেষ হচ্ছে।আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণায় স্বস্থি ফিরেছে শিক্ষকসহ সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। এখন চলছে বিদ্যালয় গুলোতে পরিষ্কার-পরিছন্নতার কাজ। সরেজমিনে দেখা গেছে, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা শ্রেণীকক্ষ, বেঞ্চসহ আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে ব্যস্থ সময় পার করছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের আশপাশ ও মাঠে জমে থাকা আগাছাও পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে রঙ্গের কাজ করতেও দেখা যায়। চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা আউশ মিয়া বলেন, করোনার কারণে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বাড়িতে মোবাইলে নানা ধরনের গেমে আসক্তি হয়ে গেছে। এসব গেম খেলা থেকে তাদের যদি দ্রুত সরিয়ে আনা না যায়, তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও ধংসের পথে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইস্কান্দার মীর্জা ফারুক জানান, সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো তারা অনেকে কাজে লিপ্ত হয়ে গেছে। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুল মুখী করার পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল নাজিম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা শুনে উপজেলার ১৪৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরই মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠান খোলার পরে কতজন শিক্ষার্থী ঝরে গেছে তার সঠিক তথ্য জানা যাবে।