রাজশাহীর গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের মামলায় ১১ জন শিক্ষক জামিনে মুক্ত
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
রাজশাহীর গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষক কে জামিন দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এক। জানা যায় গত রবিবার রাজশাহীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জুয়েল আধিকারি এ পরোয়ানা জারি করেছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরের দিন সোমবার সকাল ১১ টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল আমিন ভুইয়ার আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পন করলে আদালত সন্তুষ্ঠ হয়ে সকল আসামীকে ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন প্রদান করেন।
মামালার নথি সুত্রে জানা যায় যে ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে মারপিটের অভিযোগে অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। প্রথমে পুলিশ আসামী সনাক্ত না করে ঘটনা সত্য বলে ফাইনাল রিপোট প্রদান করে। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ না রাজি দাখিল করলে ৬ জনের নাম উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে পিবিআই মামলার তদন্তের ভার পেলে ১৩জন স্বাক্ষীর ভীত্তিতে ১১ জন কে আসামী করে চার্জশীল দালিখ করলে গত রবিবার মামলাটি আমলে নিয়ে আমামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে শিক্ষকরা সোমবার আদালতে হাজির হলে সকল আমামীকে জাদিমন প্রদান করেন।মামলা নম্বর জি আর ৪২৭/১৮।
মামলার জামিন প্রাপ্তরা হলো, গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার কেন্দুয়া গ্রামের মুনসুর রহমানের ছেলে উমরুল হক (৫২), সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও গোদাগাড়ী উপজেলার কেল্লা বারইপাড়া গ্রামের মৃত এরফান আলীর ছেলে এবিএম কামারুজ্জামান (৫৯), রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও গোদাগাড়ী উপজেলার সারাংপুর গ্রামের আয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে তাইনুস আলী (৩৫), দর্শন বিভাগের প্রভাষক ও নওগাঁ জেলার নিয়ামপুর থানার তৈয়ব আলীর ছেলে মাইনুল ইসলাম (৪৬), সমাজ কল্যাণ বিভাগের প্রভাষক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের মৃত এমাজ উদ্দিনের ছেলে হান্নান হোসাইন (৫৯), মনো বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও গোদাগাড়ী থানার বুজরুক গ্রামের জসিম উদ্দিন সরকারের ছেলে ফারুক হোসেন (৫৪)। গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের প্রাণি বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়ানশুকা গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে শহীদুল হক (৬১), গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের আইসিটি বিভাগের প্রভাষক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার রোকনপুর গ্রামের বানী ইসরাইলের ছেলে ইউনুস আলী (৩৩), সহকারী অধ্যাপক ও রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার প্যারামেডিক্যাল রোডের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৫৪), মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আব্দুল করিম (৫৩) ও ব্যাংকিং বীমা বিভাগের প্রভাষক মাজহারূল ইসলাম (৫২)।