১ম শ্রেনীর পৌরসভার ভবনের ভাড়া ১শ টাকা!
২২ বছরে নির্মান হয়নি মাধবপুরের পৌরভবন

Published: 13 October 2021

হামিদুর রহমান,মাধবপুর (হবিগঞ্জ )থেকে :


হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে নাগরিকরা। ১ম শ্রেনীর পৌরসভায় সর্বনিম্ন শ্রেনীর নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে বাসিন্দারা। সেবার মান নিয়ে উৎকন্ঠিত পৌর নাগরিকরা। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভাটি পর্যায়ক্রমে গত ২০১২ সালে ‘ক’ শ্রেনীতে উন্নীত হলেও উন্নতি হয়নি নাগরিক সেবার মান। গৃহ ও ভূমির উপর কর, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, ইমারত নির্মান/পুনঃনির্মাম, ব্যবসা ও কলিং, জন্ম, বিবাহ ও দত্তক গ্রহন, যানবাহন, বৈদ্যুতিক খুটি, হাটবাজার, সার্টিফিকেট, ফরম ইত্যাদির উপর বিগত বছর গুলোর চেয়ে চলতি বছরে কর বাড়লেও বাড়েনি নাগরিক সুবিধা। করের চাপে পৃষ্ট মাধবপুর পৌরসভার বাসিন্দারা। ২২ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভা আজও নির্মান করতে পারেনি নিজস্ব পৌরভবন। উপজেলা পরিষদের কোর্ট বিল্ডিং এ মাসে ১শ টাকায় ভাড়ায় চলছে ১ম শ্রেনীর পৌরসভার কার্যক্রম। প্রায় ৮বর্গ কিলোমিটারের পৌর এলাকায় বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক। বৃষ্টিতে মাধবপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। পৌর এলাকায় চলছে নকশাবিহীন বিল্ডিং তৈরীর হিড়িক। প্রায় ১৪ হাজার ৫শত ৬০ জন ভোটারের পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেই চলছে এ কার্যক্রম। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কতিপয় প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে চলছে অনুমোদবিহীন বিল্ডিং তৈরী। এ বিষয়ে পৌর সচিব আমিনুুল ইসলাম জানান, আমরা অনুমোদনবিহীন বিল্ডিং তৈরীর বিরুদ্ধে স্বোচ্চার রয়েছি। প্রকৌশল বিভাগসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলদের মাধ্যমে খরব রাখার চেষ্টা করি। কোথাও এ রকম হলে পৌর আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। পৌর শহরের অভ্যন্তরে সম্প্রতি সরকারী খাস ভূমি উদ্ধার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষর উদাসীনতায় আবার বেহাত হতে চলেছে। মুখ থুবড়ে পড়ে আছে ৫কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরবাসিদের জন্য নির্মানাধীন ভূগর্ভস্থ পানি শোধনাগার কেন্দ্রটি। পৌর বাসিদের দীর্ঘদিনের দেখানো স্বপ্ন পৌর টার্মিনাল, পৌর কিচেন মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেটের জাযগা নির্ধারিত থাকলেও আজো বাস্তবায়ন হয় নি। পৌর কর্তৃপক্ষ বিগত কয়েক বছর যাবৎ পৌর মার্কেট ও টার্মিনাল নির্মানে বাৎসরিক বাজেটের বরাদ্দ রাখলেও অদৃশ্য কারনে আজো আলোরমুখ দেখেনি। পৌরশহরের ভিতর বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবন তৈরী করায় রাস্তা সংকোলান, বিল্ডিং এর উপচে পড়া পানি রাস্তার উপর পড়ায় নাগরিকের স্বাভাবিক যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে। পৌরশহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা পৃথক না হওয়ায় সমান তালে চলছে বহুতল ভবনের কাজ। যা ভবিষ্যতে পৌরসভার নাগরিকদের স্বাচ্চন্দ্য বসবাসের বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাজী ওসমান খাঁনসহ বেশ কয়েকজন সচেনত নাগরিক। এ ব্যাপারে পৌরমেয়র এ ব্যাপারে পৌরমেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মানিক বলেন পৌরভবন নির্মানের জন্য ৪৪ লাখ টাকা ভবন নির্মানের ব্যাংক একাউন্টে জমা আছে। পৌর এলাকার বাইরের এক যুবক বৃহৎ উন্নয়ন কাজটি বাধাগ্রস্ত করার জন্য উদ্দেশ্য মুলখভাবে গত মেয়রের আমলে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। দায়েরকৃত মামলার কারনে ভবন নির্মানের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ওয়ার্ড ভিত্তিক উন্নয়ন কাজ ধারাবাহিকভাবে চলছে বলে তিনি দাবি করেন।