মিয়ানমারে আরেক ‘রাখাইনের’ আশঙ্কা জাতিসংঘের

Published: 24 October 2021

পোস্ট ডেস্ক :


চার বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নৃশংসতা চালিয়েছিল, দেশটিতে সে রকম আরেকটি ঘটনার আশঙ্কা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

দেশটির জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের দমনে উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্য ও সেগাইন এলাকায় ভারী অস্ত্রসহ সেনা মোতায়েন করেছে।

এদিকে কয়েকদিন আগে ছেড়ে দেওয়া বন্দিদের মধ্যে ১১০ জনকে আবারও আটক করা হয়েছে। বৌদ্ধদের তিনদিনব্যাপী ধর্মীয় উৎসব থাদিংইউত উপলক্ষ্যে এদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। খবর এএফপি, বিবিসি, আলজাজিরাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের। শুক্রবার মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টম অ্যান্ডরুজ দেশটিতে আবারও বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

মিয়ানমারে আরও ব্যাপক নৃশংস অপরাধ ঘটতে পারে। তবে আমি আশা করব, আমার এ কথা যেন ভুল হয়। মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। গ্রেফতার করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের। এরপর থেকে দেশটিতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে ৮শর বেশি মানুষ হত্যা করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। কারারুদ্ধ করা হয়েছে হাজার হাজার।

বিভিন্ন চাপে বন্দিদের ধীরে ধীরে মুক্তি দিতে বাধ্য হচ্ছিল তারা। তবে ছেড়ে দেওয়া ১১০ বন্দিকে ফের আটক করে পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে যাচ্ছে জান্তা। জান্তা জানিয়েছিল, সারা দেশে তারা ২০০০ সেনাবিরোধী বিক্ষোভকারীকে জুনে মুক্ত করে দিয়েছে। এদের মধ্যে জান্তার সমালোচক সাংবাদিকও ছিলেন।

আসিয়ানের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জান্তার : আসিয়ান সম্মেলনে অরাজনৈতিক নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। তবে কে হবেন মিয়ানমারের সেই অরাজনৈতিক প্রতিনিধি, তা এখনো জানা যায়নি।

২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর ব্রুনাইয়ে ১০ সদস্যবিশিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশন্সের (আসিয়ান) বার্ষিক সম্মেলন। মিয়ানমার আসিয়ানের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও জোর করে ক্ষমতায় আসা সামরিক জান্তাকে এতে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আসিয়ান নেতারা।

এতে ক্ষোভ জানিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছে সামরিক জান্তা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়েছে, আসিয়ানের অন্য ১০টি সদস্য যেসব অধিকার ভোগ করে, সম্মেলনে যোগ দেওয়ার অধিকার ভোগ করে, মিয়ামনারের সরকারপ্রধানেরও সেই সমান অধিকার আছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, আসিয়ান সনদের বিধিবিধান, উদ্দেশ্য ও লালিত নীতির বিরুদ্ধে কোনো আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না মিয়ানমার।