জোরপূর্বক বিয়ে অত:পর স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা!

Published: 25 October 2021

বিশেষ সংবাদদাতা :

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হেসাখাল ইউনিয়নের উরুকচাউল গ্রামে শারমিন আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত শারমিন ওই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলামের স্ত্রী ও একই গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি কমলা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছে পুলিশ। সোমবার সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দু’বছর আগে কামরুল ইসলাম শারমিনকে অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে করে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকেন। পরে গ্রামবাসীর চাপের মুখে বিষয়টি স্বীকার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন শারমিনকে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই কামরুল মাদকে জড়িয়ে পড়লে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর জের ধরে স্ত্রীকে কয়েক দফা শারীরিক নির্যাতন করে কামরুল ও তার পরিবারের লোকজন। শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে কামরুল শারমিনকে বেধড়ক মারপিট করে ঘরে বন্দি করে রাখেন। পরে তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করলে শারমিনের স্বজনরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আসার খবরে লাশ রেখে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি (তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।