কলকাতায় রাত ১২ টা পর্যন্ত বার খোলার অনুমতি না পেলে বৃহত্তর আন্দোলন

Published: 29 October 2021

পোস্ট ডেস্ক :


রাজ্যের মোট আয়ের ৪০ শতাংশই আসে পানশালা এবং রেস্তোরাঁর রাজস্ব থেকে। অথচ, দুটি ক্ষেত্রই রাজ্য সরকারের কাছে ব্রাত্য। কলকাতা বার ওনার্স আসোসিয়েশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাত ১২ টা পর্যন্ত বার এবং রেস্তোরাঁ খোলা রাখার অনুমতি না পেলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। প্রয়োজনে বনধও পালন করতে পারে বারগুলি। বার মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য বসু জানিয়েছেন, করোনা বিধি দেখিয়ে এখন রাত সাড়ে ১০ টায় পানশালা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। অথচ পুজোর সময় বার রেস্তোরাঁ রাত দুটো পর্যন্ত খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ১০ দিনের জন্য। ওই ১০ দিনে আয় হয়েছিল দুই হাজার কোটি টাকা যার ৪০ শতাংশ পেয়েছিল সরকার। লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী প্রভৃতি উন্নয়ন মূলক প্রকল্প এই টাকাতেই চলে।
রাজ্যের আবগারি আয় মোট আয়ের ৪০ শতাংশ। একটি বার-এর লাইসেন্সর জন্যে দিতে হয় ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। লাইসেন্স অনুযায়ী বার খোলা রাখার কথা বেলা ১১ টা থেকে রাত ১২ টা। পানশালা ও রেস্তোরাঁ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ২৫ হাজার মানুষ এবং মোট দেড় কোটি মানুষ যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছেন। করোনার কারণে তা তিনি করতেই পারেন। কিন্তু, তিনি নিজেই বলেছেন রাত ১১ টার পর মাত্র চার-পাঁচ শতাংশ মানুষ বাইরে থাকে। তাদের দ্বারা করোনা ছড়ায় না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ, এই চার-পাঁচ শতাংশই দেড় কোটি মানুষের মুখে অন্ন জোগায়
এদের গতিবিধিতে নিয়ন্ত্রণ বসিয়ে আমাদের রুটি রুজিকে বিপন্ন করবেন না। আর একটি মারাত্মক মন্তব্য করেছেন বার মালিকরা। তা হল পুলিশি অত্যাচারের। তাঁরা বলেছেন, পুলিশ সিংগিং বার এর গায়িকাদের পোশাক আশাক নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করছে। যার ফলে ভদ্রঘরের মেয়েরা আসছে না। ব্যবসা বিপন্ন হচ্ছে। বার মালিকরা লাইসেন্স ফিস কমানোর দাবিও তুলেছেন।