জলবায়ু ইস্যুকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন

Published: 30 October 2021

পোস্ট ডেস্ক :


দুই বছর পর আবারো বসেছেন বিশ্বের সবথেকে বড় ২০ অর্থনীতির প্রধানরা। শনিবার শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে দুদিন। এতে জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কোনো রাষ্ট্রই খুব বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী না। রয়টার্স জানিয়েছে, সব রাষ্ট্রই আগের তুলনায় সামান্য কিছু কড়াকড়ি বাড়ানোর পক্ষে। যদিও এক্টিভিস্টরা এখনই পরিবেশ বাঁচাতে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে বিশ্ব নেতাদের। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদান করতে চান তারা।

একইসঙ্গে ভবিষ্যতে নতুন মহামারি মোকাবেলায় একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাবও উঠছে এবারের সম্মেলনে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি সম্মেলনের শুরুতে রাখা এক বক্তব্যে বলেন, মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা করারোপের মতো বিষয়গুলোতে একা চলা কোনো অপশন হতে পারে না। ইতালির রাজধানী রোমের দ্য ক্লাউড নামের ওই সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত হচ্ছে এবারের জি-২০ সম্মেলন। এই ব্লকে রয়েছে ব্রাজিল, চীন, জার্মানি, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাষ্ট্র যা বিশ্বের জিডিপির ৮০ শতাংশের মালিক। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষ এই জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোতে বাস করে। অপরদিকে বিশ্বের যতো গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হয় তার ৮০ শতাংশই হয় এই রাষ্ট্রগুলোতে।
আগামি সোমবার গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতো আরো অনেক জি-২০ নেতাই সরাসরি সেখানে উরে যাবেন। এই সম্মেলনকে দেখা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে বিশ্বকে বাঁচানোর শেষ সুযোগগুলোর একটি হিসেবে। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, জি-২০ ও জলবায়ু সম্মেলন কঠিন হতে চলেছে। তবে একইসঙ্গে তিনি সাবধান করে জানিয়েছেন, কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করতে পারলে প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের মতো মানব সভ্যতাও ধ্বংস হয়ে যাবে। একইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে অন্ধকার যুগের সূচনা ঘটবে।