কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলন
পৃথিবীটা কোনো শৌচাগার নয় : জাতিসংঘপ্রধান

Published: 1 November 2021

পোস্ট ডেস্ক :


জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কপ২৬ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে তার উদ্বোধনী ভাষণে বিশ্ব নেতাদের গ্রহটিকে “শৌচাগারের মতো” ব্যবহার করা বন্ধ করার জন্য সতর্ক করেছেন। গ্লাসগোতে সমবেত রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারিতে গুতেরেস বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আমাদের আসক্তি মানবতাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা একটি কঠোর পদক্ষেপের সম্মুখীন। হয় আমরা এটি বন্ধ করি, অথবা এটি আমাদের থামিয়ে দেবে। এটা নিয়ে কিছু করার জন্য এখনই শ্রেষ্ঠ সময়।

তিনি আরো বলেন, জীববৈচিত্র্যের নৃশংসতার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আমাদের আসক্তি যথেষ্ট হয়েছে। কার্বন দিয়ে নিজেদের মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট কার্বন আমারা তৈরি করেছি। টয়লেটের মতো প্রকৃতির সঙ্গে আচরণ করারও দিন শেষ। বার্ন এবং ড্রিলিং এবং আমাদের গভীর খনন প্রকল্পগুলো আর নয়। আমরা আসেল নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়ছি।’ এখন সময় এসেছে ‘যথেষ্ট হয়েছে’ বলার।

মানবতা ও পৃথিবীকে রক্ষায় কপ২৬ সম্মেলন থেকে সবাইকে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গুতেরেস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বকে অবশ্যই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুসারে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে। এসময় কয়লার ব্যবহার কমিয়ে সবুজ অর্থনীতি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে, সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্নত বিশ্বের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। অন্যদের সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে উন্নত বিশ্বকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, কপ২৬ সম্মেলন থেকে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বাস্তব পদক্ষেপের ঘোষণা না আসলে বিশ্বের ক্রোধ ও অসহিষ্ণুতা ঠেকানো যাবে না।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত থাকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রমুখ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কপ২৬ সম্মেলনে যোগ দিতে গ্লাসগোতে গেছেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি কপ২৬ এর মূল অনুষ্ঠানেও ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আলোচিত এ সম্মেলনে থাকছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো প্রভাবশালী নেতারা। ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায়’ যাচ্ছেন না তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও।