আড়াই’শ বাংলাদেশি, পাকিস্তানিদের ফেরত পাঠাতে চায় গ্রিস

Published: 3 November 2021

পোস্ট ডেস্ক :


তুরস্কের পতাকাবাহী কার্গো শিপে করে যাওয়া বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে চায় গ্রিস। দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী নোটিস মিতারাকিস সোমবার এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এসব অভিবাসী অপ্রয়োজনে বিপজ্জনক জার্নি করেন। এর আগে হেলেনিক কোস্ট গার্ডরা ক্রিটি’তে উদ্ধার অভিযান চালায়। তারা কোস দ্বীপ থেকে উদ্ধার করে ৩৮২ জন অভিবাসীকে। ওই দ্বীপে তাদের নৌযানে মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং তারা উদ্ধারের জন্য বিপদ সঙ্কেত পাঠায়। উদ্ধার করে এসব অভিবাসীকে কোস-এর ডোডেকানেস দ্বীপে অভ্যর্থনা ও শনাক্তকরণ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকের সংখ্যা আড়াইশ। বাকি ১১২ জন আফগানিস্তানের। গ্রিসের আনসামেড অনলাইন এ খবর দিয়েছে।
মন্ত্রী মিতারাকিস ব্যক্তিগত টুইটারে লিখেছেন, এখন একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব ব্যক্তির দেশের সঙ্গে একটি চুক্তিতে যাওয়া প্রয়োজন, যাতে তাদেরকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো যায়। যারা আন্তর্জাতিক রক্ষার অধিকারী নয় তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে। এ জন্য আমি আগামী সপ্তাহে ওই দুটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের মিটিংয়ে ডেকেছি। এখানে উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের ফলে আফগানদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, পাশাপশি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজ করছি, যাতে তারা গ্রিসকে সহায়তা করতে পারে। আমি আবারও বলবো, অপরাধ চক্রের মাধ্যমে এসব মানুষ অপ্রয়োজনে বিপজ্জনক সফরে বের হচ্ছে। এ সমস্যাটিকে উপেক্ষা করছে তুরস্ক ও অন্য দেশগুলো। তাদের মতো না হয়ে গ্রিস অভাবে থাকা এসব মানুষকে অবিলম্বে মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু অভিবাসন সঙ্কট একা গ্রিস সমাধান করতে পারবে না।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে তিনি আরো জানান, যে নৌযানে করে এসব অভিবাসী গ্রিসে পৌঁছেছে তা ফেরত নিতে বলা হয়েছিল তুরস্ককে। কিন্তু তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছে। পক্ষান্তরে গত সাত বছরে হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে গ্রিস। তাই এখনই সময় এসেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ব্যবস্থা নেয়া, যাতে তুরস্ক সংহতি প্রকাশ করে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়। উল্লেখ্য, মাত্র এক সপ্তাহ আগে উত্তর-পূর্ব আজিয়ান সাগরের ছিওস উপকূলে একটি জাহাজ ডুবে যায়। তাতে কমপক্ষে চারটি অভিবাসী শিশু মারা যায়। তার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। ২৮ অক্টোবরে উদ্ধার অভিযানে গ্রিসের দুটি কোস্ট গার্ড নৌযান, দুটি হেলিকপ্টার, ন্যাটো মিশনে জার্মানির একটি সামরিক জাহাজ এবং তিনটি মাছধরা নৌযান অংশ নেয়। সফলতার সঙ্গে উদ্ধার করা হয় ২২ জনকে।